লাগাতার বিক্ষোভের জের। স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানিয়ে দিল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। গৃহস্থের বাড়িতে বিদ্যুতের আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে কয়েকদিন ধরে একাধিক জেলা থেকে বিক্ষোভের খবর আসছিল। তার জেরে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও বিষয়টি ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপরই গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হল।
অনেকেরই দাবি, স্মার্ট মিটার বসানোর পরই অনেক বেশি বিল আসছে। তাছাড়া স্মার্ট মিটারে মোবাইল ফোনের মতো আগাম রিচার্জ করতে হবে। টাকা ফুরিয়ে গেলেই কানেকশন কেটে যাবে। এই পদ্ধতিও মানতে চাইছেন না অনেকেই।বাসিন্দারা বলছেন, আগে স্মার্ট মিটার সম্পর্কে সবকিছু পরিষ্কার করে জানানো হোক। তার সুবিধা অসুবিধার কথা গ্রাহকদের বোঝানো হোক।
তার পর স্মার্ট মিটার বসানো উচিত ছিল। তা না করে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনও রকম অনুমতি না নিয়েই স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তাতেই সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া দিনে বিদ্যুতের দাম কম হবে, রাতে তার দাম হবে তুলনামূলক অনেক বেশি, এই সিদ্ধান্তও মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সব মিলিয়ে এলাকায় এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছিল। তার জেরেই এখন স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।