আপনার ঘর-বাড়ির নানা দরকারি জিনিস… টুথপেস্ট, ছাতা, বাইসাইকেল কিংবা ইলেকট্রিক ইস্ত্রি—সবই কি সস্তা হতে চলেছে?
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। খুব শীঘ্রই এসব দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে কমে যেতে পারে, যদি জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাব কার্যকর হয়।
জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে ১২% জিএসটি স্ল্যাব ৫%-এ নামানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে। আর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যেসব জিনিস সস্তা হতে পারে তার তালিকায় রয়েছে—
টুথপেস্ট ও টুথ পাউডার
প্রেসার কুকার ও বাসনপত্র
ছাতা ও সেলাই মেশিন
ইলেকট্রিক ইস্ত্রি ও ছোট ওয়াশিং মেশিন
বাইসাইকেল
১০০০ টাকার বেশি মূল্যের কাপড়
৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে জুতো
স্টেশনারি আইটেম
টিকা ও সিরামিক টাইলস
এই সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্তের জন্য একটা বড় স্বস্তির খবর হতে পারে। কারণ এসব পণ্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অঙ্গ। জিএসটি কমলে সরাসরি উপকার পাবেন আমজনতা।তবে এতে সরকারের রাজস্বের উপর চাপ পড়তে পারে প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। তবুও, অর্থমন্ত্রীর যুক্তি—এই সাময়িক ক্ষতি মেনে নেওয়া হলেও দীর্ঘমেয়াদে লাভই বেশি।চাহিদা বাড়বে, বাড়বে বাজারের গতি, এবং সর্বোপরি, কর কাঠামো হবে আরও সহজ ও যুক্তিসঙ্গত।
Read more – পাকিস্তানের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা, ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব স্পষ্ট
২০১৭ সালে যখন জিএসটি চালু হয়, গড় করহার ছিল ১৫.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা নেমে এসেছে ১১.৪ শতাংশে।সরকার এখন চাইছে এই কর কাঠামোকে আরও সোজা, আরও সাধারণ করতে। যাতে মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা আর্থিক স্বস্তি পান, এবং দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হয়। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, আগামী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। এবং এরপরই আমরা দেখতে পারি—বাজারে টুথপেস্ট থেকে বাইসাইকেল, সব কিছুতেই দাম কমার হাওয়া।তাই এখন শুধু অপেক্ষা—পরবর্তী বৈঠকের!