২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মোট ৬৫০টি স্টেশন রি-ডেভেলপমেন্টের কাজ হচ্ছে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমে। এই দফায় ১০৩টি স্টেশনকে নতুন ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলো। তার মধ্যে রয়েছে আপনার ঘরের কাছের এই স্টেশনটিও। কোন স্টেশনের কথা বলছি জানেন কি? এই প্রকল্পে বাংলার তিনটি স্টেশন রয়েছে – দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের জয়চণ্ডী পাহাড়, পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পানাগড় এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের কল্যাণী ঘোষপাড়া। রাজস্থান থেকে স্টেশনগুলির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমৃত ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনগুলির আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণ, উন্নত আলোর ব্যবস্থা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য নানা ধরনের উন্নত সুবিধা এবং যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য আরও বেশ কিছু আধুনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আসানসোল বিভাগের আওতাধীন পানাগড় স্টেশনটিকেও আধুনিক ভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনে একটি নতুন প্রবেশপথ ও ভবন নির্মিত হয়েছে। যেখানে রয়েছে টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম, দুটি নতুন লিফট ইত্যাদি। প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি বেঞ্চের মাথায় করা হয়েছে শেড। এ ছাড়াও বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে রয়েছে আদ্রা ডিভিশনের জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশন। এখানে উন্নততর স্টেশন কনকোর্স, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ওয়েটিং রুম, গ্রানাইটের স্ল্যাব বসানো প্ল্যাটফর্ম, র্যাম্প, পার্কিং এরিয়া ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্যে শৌচাগার এবং নিচু বুকিং কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনটি পূর্ব রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। প্রতিদিনই প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করেন এই স্টেশন দিয়ে। নিরাপত্তার জন্য এখানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ ছাড়াও স্টেশনে ঝাঁ চকচকে ওয়েটিং রুম, পানীয় জল, উন্নত টয়লেট, সৌরশক্তি ব্যবহার করে আলো ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য কম উচ্চতার টিকিট কাউন্টার, বিশেষ টয়লেট ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।