ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে এক নতুন বাণিজ্য অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান মিলে দেশটির বিশাল তেল রিজার্ভ উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে।এই অংশীদারিত্ব এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোন তেল কোম্পানি এই প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানান ট্রাম্প। তবে এরইমধ্যে আলোচনার টেবিলে বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প কৌতূহলভরে মন্তব্য করেছেন, “কে জানে, হয়তো একদিন পাকিস্তান ভারতকে তেল বিক্রি করবে!” এই ঘোষণার তাৎপর্য আরও গভীর যখন দেখা যায় যে, ঠিক এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত “আমাদের বন্ধু”, কিন্তু তারা মার্কিন পণ্যের উপর অত্যধিক শুল্ক আরোপ করছে। একই সঙ্গে ভারত যে রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও জ্বালানি কিনছে, তা ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন তেল চুক্তি এবং ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ – দুইটি ঘটনাই জিওপলিটিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও পাকিস্তানের বর্তমান তেল রিজার্ভ বিশ্বে মাত্র ০.০২১ শতাংশ, তবে নতুন অনুসন্ধানে সম্ভাব্য মজুদের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সিন্ধু এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে, যার বাণিজ্যিক উন্নয়ন হতে পারে পরবর্তী দশকের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এদিকে, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা শুল্ক ঘোষণার প্রভাব মূল্যায়ন করছে এবং একটি সুষম ও লাভজনক চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্ভাব্য জ্বালানি অংশীদারিত্ব শুধু দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেই চ্যালেঞ্জ করছে না, বরং ভারতের জন্য একটি কৌশলগত বার্তাও বহন করছে।