তেল আবিব-তেহরান উত্তেজনার মাঝেই ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ঘোষণা করেন, ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সংঘাতে সম্পূর্ণরূপে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা ইরানের চেয়ে বহুগুণ বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। এদিকে ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, কোম প্রদেশের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশে শত্রু বিমান হামলা হয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরও একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র মোরতেজা হেইদারী ।
সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা নিশ্চিত করেছে, নাতানজ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্রেও বিস্ফোরণ হয়েছে। ইসফাহানের গভর্নরের সহকারী আকবর সালেহি জানান, দুটি এলাকাতেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, হামলার সময় এসব পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো তেজস্ক্রিয় উপাদান ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, আগেই সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নির্ভর করছে পরবর্তী কূটনৈতিক বা সামরিক পদক্ষেপের ওপর।