অনেকেই হয়তো জানেন না যে আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, ভারতীয় রেলওয়ে, কতটা আধুনিক এবং নিরাপদ হয়ে উঠেছে। আপনি কি জানেন? ভারতীয় রেলপথ শুধু এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তমই নয়, এটি গোটা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক! একটি ট্রেনের ইঞ্জিন চালান একজন লোকো পাইলট, যিনি ট্রেনের চালক। তবে, একজন চালক তো মানুষই — আর মানুষ ক্লান্ত হতে পারে, অসুস্থও হতে পারে। যদি এমন সময়ে চালক ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে? বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা! কিন্তু রেলওয়ে এই সমস্যার সমাধান আগেই খুঁজে বের করেছে।
Read More – নিম্নচাপ সরলেও, তবে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলছে এখনই
প্রতিটি ট্রেনে একজন সহকারী চালক থাকেন। যদি প্রধান চালক অসুস্থ হন বা ঘুমিয়ে পড়েন, সহকারী চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। তাও যদি কোনও গুরুতর সমস্যা হয়, ট্রেন থামিয়ে পরবর্তী স্টেশন থেকে নতুন চালক পাঠানো হয়। এতটুকুতে থেমে নেই প্রযুক্তি। প্রতিটি ইঞ্জিনে এখন বসানো হয়েছে সতর্কতা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, যাকে বলে ড্রাইভার অ্যালার্ট সিস্টেম।
চালক যদি ১ মিনিটের জন্য কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখান, তাহলে যন্ত্রটি ১৭ সেকেন্ডের মধ্যে অডিও ও ভিজ্যুয়াল অ্যালার্ট পাঠায়। চালককে সেই অ্যালার্টে বোতাম টিপে সাড়া দিতে হয়। যদি সাড়া না মেলে, তাহলে ট্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক করে থেমে যায়। এছাড়াও, ট্রেনে থাকা অন্য রেলকর্মীরাও এই ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকেন এবং প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ফলাফল? রেলপথে ঘটে যাওয়া বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে সহজেই — চালকের সামান্য অসাবধানতাও আর বড় বিপদে পরিণত হচ্ছে না। রেলওয়ের এই আধুনিক ব্যবস্থা প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর জীবনে নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে — নিশ্চিন্তে ভ্রমণের অঙ্গীকার রাখছে ভারতীয় রেল।