২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনীতিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে, তো কখনও অমিত শাহের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়া—সবই বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সম্ভাবনার আঁচ। তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, সেই সম্ভাবনাকেই কার্যত নস্যাৎ করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক নিজেই।
একটি সাক্ষাৎকারে পিটিআই-কে সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতিতে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার প্রস্তাব এলেও তা নিয়ে আগ্রহী নন তিনি। তাঁর কথায়, “এই নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই।” রাজনৈতিক কোনও প্রশ্নেই সোজাসাপ্টা কিছু বলতে চাননি সৌরভ। বরং জানালেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।
Read more – লবণ রপ্তানি বন্ধে পাকিস্তানে হাহাকার, ভারতের ঘাটতি পূরণ কি সম্ভব
তবে নিজেকে ভবিষ্যতে কোন ভূমিকায় দেখতে চান, সেই প্রশ্নে সৌরভ বলেন, “আমি এসব নিয়ে সেভাবে ভাবিনি। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর বিসিসিআই সভাপতি হয়েছি। বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করেছি।” বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহিলাদের ক্রিকেটে উন্নতিকে নিজের বড় সাফল্য হিসেবে দেখেন তিনি।
তাহলে কি ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের কোচ হওয়া? সৌরভের জবাব, “আমি এখন সবে ৫০। সব সম্ভাবনাই খোলা রাখতে চাই। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।” তবে বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রশংসা করতে ভোলেননি ‘দাদা’। বিশেষত নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতীয় দলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশংসা করেন তিনি। সৌরভের মতে, “গম্ভীর খুব আবেগপ্রবণ এবং নিজের কাজ নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস। তবে ইংল্যান্ড সফরটা ওর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু আমি আশাবাদী, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ও সফল হবেই। রাজনীতিতে না এলেও, সৌরভের পরবর্তী ইনিংস ঠিক কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে আগ্রহ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। ‘মহারাজ’ নিজেও সেই সম্ভাবনার দরজা এখনও বন্ধ করে দেননি।