রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলমান। প্রতিদিনই রুশ হামলার মুখে পড়ছে ইউক্রেন, আর পাল্টা জবাব দিচ্ছে কিয়েভ। এই সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সিনেটর জেডি ভ্যান্স। কিন্তু সেই বৈঠক উত্তপ্ত বিতর্কে পরিণত হয়। জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে পিছু হটবে না। তিনি ট্রাম্পকে বলেন, “আপনাদের সাহায্যেই আমরা যুদ্ধ করছি, এখন আপনারা কি হাত গুটিয়ে নেবেন?” এই মন্তব্য বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে এবং আমেরিকার দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রশ্ন তোলে। তবে এই অবস্থানকে ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া। মস্কো জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের পেছনে পশ্চিমাদের সমর্থন চললে ফলাফল হবে ভয়াবহ।
এরই মাঝে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চল নিয়ে। ন্যাটো দেশগুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেন, “যদি কালিনিনগ্রাদে কোনও হামলা হয়, রাশিয়া এমন সামরিক জবাব দেবে যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” কালিনিনগ্রাদ রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত এলাকা। এটি পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে অবস্থিত, কিন্তু রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এই অঞ্চল থেকে ইউরোপে সহজেই হামলা চালানো সম্ভব, এমন ধারণা পশ্চিমাদের। কালিনিনগ্রাদ ঘিরে বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। রাশিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এই অঞ্চল রক্ষায় কোনওরকম দ্বিধা করবে না। ফলে রাশিয়া-ন্যাটো সংঘর্ষের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ যেখানে এখনও থামার নাম নিচ্ছে না, সেখানে কালিনিনগ্রাদ ইস্যু নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিকে এক বিপজ্জনক মোড়ে নিয়ে যাচ্ছে।