ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবার জাপান সাগরে চীন ও রাশিয়ার ভয়াবহ সামরিক মহড়া। আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে, এই দুই শক্তিধর দেশ শুরু করেছে যৌথ নৌ মহড়া। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মহড়ার মূল লক্ষ্য পারস্পরিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক শক্তির প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ জানানো।রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের কাছে এই মহড়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মহড়ায় রয়েছে সাবমেরিন উদ্ধার অভিযান, অ্যান্টি-সাবমেরিন অপারেশন, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক যুদ্ধ প্রশিক্ষণ। মহড়ার শেষে প্রশান্ত মহাসাগরের জলসীমায় যৌথ নৌ টহলের পরিকল্পনা রয়েছে চীন ও রাশিয়ার। দুই দেশের এই যৌথ সামরিক মহড়া নতুন কিছু নয়। ২০১২ সাল থেকে এই সহযোগিতা চলে আসছে। গতবারের মহড়া হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলে। এবার চীনের চারটি যুদ্ধজাহাজ এবং রাশিয়ার প্রশান্তিক ফ্লিট এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। চীনের তরফে অংশগ্রহণকারী জাহাজগুলোর মধ্যে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারও রয়েছে।
তবে এই মহড়া শুধু সামরিক কৌশলগত অনুশীলন নয়, বরং এটি স্পষ্ট এক ভূ-রাজনৈতিক বার্তা। বিশেষ করে আমেরিকা ও জাপানের কাছে। জাপান ইতিমধ্যেই এই সামরিক সহযোগিতাকে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছে। গত মাসে জাপান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক রিপোর্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, রাশিয়া-চীনের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ। চীনা হুমকি ঠেকাতে জাপান ইতিমধ্যে সীমান্তে মোতায়েন করেছে উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করছে এই মহড়া নিছক প্রতিরক্ষামূলক এবং কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। চীনও ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, তারা এখনও রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রকাশ্যে নিন্দা করেনি। বরং পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, চীন রাশিয়াকে প্রযুক্তি ও অর্থনীতিতে সহযোগিতা দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মহড়া শুধু পূর্ব এশিয়া নয়, গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক ঘনিষ্ঠ প্রতিরোধের বার