মাত্র ২২ বছর বয়সেই না-ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলার উদীয়মান ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষ। শুক্রবার সকালে জিম করার সময় আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের মহকুমা হাসপাতালে, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পরিবার। বোলপুরের জামবুনির বাসিন্দা প্রিয়জিৎ ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটে দারুণ প্রতিভাবান ছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে, সিএবি-র আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনি। ২০১৮-১৯ মরসুমে এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল।
বিরাট কোহলিকে নিজের আদর্শ মানতেন প্রিয়জিৎ। সবসময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করতেন। তবে কিছুদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না বলেই জানাচ্ছেন পরিচিতরা।“কিছুদিন ধরে ওর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। ঠিকমতো ট্রেনিং করতে পারত না, এমনকি দৌড়ে ২ রান নিতেও কষ্ট হত। বাড়িতেও জানানো হয়েছিল ওর অসুস্থতার কথা। এত অল্প বয়সে এমন প্রতিভাবান ছেলের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।” পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ — কেউই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না এই অকালমৃত্যু। বাংলার ক্রিকেট আজ হারাল একটি সম্ভাবনাময় তারকাকে, আর এক তরতাজা প্রাণের নিভে যাওয়া ছুঁয়ে গেল অসংখ্য হৃদয়কে।