আপনি কি ভাবতেন, কাচের বোতল সবচেয়ে নিরাপদ? তাহলে এই রিপোর্ট শুনে চমকে উঠবেন।ফ্রান্সের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা সম্প্রতি এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। কাচের বোতলে ভরা বিভিন্ন সফ্ট ড্রিঙ্কস, লেমোনেড, আইসড টি, এমনকি বিয়ারেও মিলছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সংস্থার গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর Guillaume Duflos।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি লিটার কাচের বোতলে থাকা সফ্ট ড্রিঙ্কসে মেলে গড়ে ৩০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা।লেমোনেডে ৪০টি, আর বিয়ারে সবচেয়ে বেশি — প্রায় ৬০টি কণা। এর তুলনায়, সাধারণ প্লাস্টিকের বোতলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ এর চেয়ে ৫ থেকে ৫০ গুণ কম! কারণ কী? গবেষক Iseline Chaib বলছেন, সমস্যার মূল উৎস হতে পারে কাচের বোতলের মুখে থাকা প্লাস্টিকের সিল ক্যাপ।
Read more – গ্যাসে পেট ফুলে থাকছে? এইসব ঘরোয়া টোটকায় সমস্যা থেকে মুক্তি পান সহজে
এই ক্যাপের ঘর্ষণ থেকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পানীয়তে মিশে যেতে পারে। তাঁরা খালি চোখে না দেখা গেলেও, পরীক্ষাগারে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন ক্যাপের রঙে থাকা আঁকিবুঁকি এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি। সবচেয়ে নিরাপদ কী?
এই গবেষণায় দেখা গেছে – কাচের বোতলের জল সবচেয়ে কম দূষিত (প্রতি লিটার ৪.৫ কণা), প্লাস্টিক বোতলের জলে মাত্র ১.৬। ওয়াইনেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ কম, যদিও কেন তা এখনও গবেষণাধীন।
ঝুঁকি কতটা?
মাইক্রোপ্লাস্টিক এখন বাতাস, খাবার এমনকি শরীরেও মিলছে। কিন্তু এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, কোন পরিমাণে তা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক।
তবে গবেষকদের পরামর্শ –
কাচের বোতলের ক্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি। বোতলের ঢাকনা খুলে তা জল ও অ্যালকোহল দিয়ে ধুয়ে নিলে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কাচ মানেই নিরাপদ নয়, আজকের গবেষণা আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে। আপনি যখন পরের বার কাচের বোতল খুলবেন, একবার ভাবুন — ঢাকনাটা কতটা পরিচ্ছন্ন? সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। কারণ স্বাস্থ্যই ভবিষ্যৎ।