কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরের নানা বিপদ। হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে স্ট্রোক- অনেক কিছুই হতে পারে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আপনি চাইলে মাত্র তিন সপ্তাহেই বাড়তি কোলেস্টেরল কমানো যায়। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। খাওয়া-দাওয়ায় বিশেষ নজর দিতে হবে। তা না হলে কোলেস্টেরলকে কমানো অসম্ভব। ডায়েটে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ওটস, বিভিন্ন বাদাম থেকে শুরু করে ফল, শাকসবজি, চিকেন, ডাল খেতে হবে। সেই সঙ্গে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে হবে। রান্নায় তেল থাকবে খুব কম। কেক, রেড মিট এড়িয়ে চলুন।
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার পিছনে সিগারেট অনেকটা দায়ী। ধূমপান ছেড়ে দিলে ধীরে ধীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়ার ৩ মাসের মধ্যে দেহে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে মদ্যপান ছাড়তে হবে। কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে গেলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়াতে হবে। মনে রাখবেন, স্থূলতা হাজার এক ধরনের ক্রনিক অসুখ ডেকে আনে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, অলস জীবনযাপন ছাড়তে হবে। তাতেই কোলেস্টেরল সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে।
এর সঙ্গে দরকার নিয়মিত শরীরচর্চা। সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যয়াম করতেই হবে। যোগব্যায়াম করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এলডিএল কোলেস্টেরল কমার পাশাপাশি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ে। আপনি যে কোনও ধরনের কায়িক পরিশ্রম করুন, ঝটপট কমবে কোলেস্টেরল।