পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনমুখী প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আজ রাজ্যের প্রায় এক কোটিরও বেশি মহিলার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী বিবাহিত, অরোজগার মহিলাদের জন্য এই ভাতা যেন এক প্রকার আর্থিক স্বস্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, এই প্রকল্পের অধীনে সাধারণ জাতিভুক্ত মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি তথা SC/ST মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে। এই অর্থ সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়, যা ঘরের খরচ কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে বড় সহায়ক।
Read More – গলসির তৃণমূল কার্যালয়ে রাতে চুরি! আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র উধাও
তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের তরফে দাবি উঠেছে—আগামী অগস্ট মাস থেকে এই ভাতার পরিমাণ বাড়তে পারে। সম্ভাব্য নতুন হারে, সাধারণ শ্রেণির মহিলারা পেতে পারেন ১৫০০ টাকা, এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা পেতে পারেন ১৮০০ টাকা করে। এই খবরকে ঘিরে রাজ্যে একপ্রকার আশার আলো দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভাতা বাড়লে মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা আরও জোরদার হবে।
যদিও সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও নিশ্চিত ঘোষণা আসেনি, তবুও আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ঘোষণা আসতে পারে। উল্লেখ্য, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা, যুবশ্রী—এই সব প্রকল্পগুলির পাশাপাশি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আজ রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের অন্যতম।
বর্তমান ভাতা: সাধারণ শ্রেণি – ₹১০০০, তপশিলি শ্রেণি – ₹১২০০ সম্ভাব্য নতুন হার: সাধারণ – ₹১৫০০, তপশিলি – ₹১৮০০ উপযুক্ত প্রার্থী: ২৫-৬০ বছর বয়সী বিবাহিত, অরোজগার মহিলা (রাজ্যের বাসিন্দা) সরকারি ঘোষণা: এখনও হয়নি, তবে জল্পনা জোরালো। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পরবর্তী আপডেটের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা রাজ্য। আর প্রতিটি উপকারভোগীই চাইছেন—এই বাড়তি ভাতার মাধ্যমে তাঁদের জীবন হোক আরও নিরাপদ, আরও স্বচ্ছল।