ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটিয়া ট্রাইব্যুনাল বিল পাশ হলো বিধানসভায় । এই বিলের মূল লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটিয়া ট্রাইব্যুনালের নির্বাচন কমিটির গঠন যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজানো এবং বিচার ও প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা । অর্থাৎ জমি ও ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা । এই বিলের মূল লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটিয়া ট্রাইব্যুনালের নির্বাচন কমিটির গঠন যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজানো এবং বিচার ও প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা । অর্থাৎ জমি ও ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা ।
সরকারি কর্মীদের বাড়িভাড়া ভাতা নিয়ে জরুরী নির্দেশ। না মানলে বেতন আটকে যাবে ,নতুন বিল অনুযায়ী, প্রশাসনিক সদস্যকে মনোনীত করবে রাজ্য সরকার । তবে তার আগে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিটির সুপারিশ থাকবে। এই কমিটি গঠন করবে রাজ্য সরকার। উল্লেখযোগ্যভাবে, 1997 সালের আগের আইনে প্রশাসনিক সদস্যকে নিয়োগ করতেন রাজ্যের রাজ্যপাল। 1997 সালের আইন অনুযায়ী গঠিত ট্রাইবুনাল কার্যকর হয় 1998 সালের 3 অগস্ট থেকে । কিন্তু কার্যকারিতায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় হাইকোর্ট কিছু ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে । সেই সিদ্ধান্তের পর ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার।
নতুন বিল অনুযায়ী, নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি অথবা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি । যাঁর থাকবে নির্ণায়ক ভোটাধিকার। বাকি দুই সদস্য হবেন পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কার কমিশনার এবং রাজ্য সরকারের যে কোনও এক দফতরের সচিব। বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মহম্মদ আলি বলেন, “নির্বাচন কমিটিতে ভূমি সংস্কার কমিশনারকে যুক্ত করার ফলে ট্রাইব্যুনালের কাজের দক্ষতা আরও বাড়বে ।
বিল নিয়ে আলোচনার শেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে একাধিক বেঞ্চের মধ্যে মতানৈক্য হলে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করতে পারেন এবং তার গঠন ঠিক করতে পারেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সময় বিচার বিভাগীয় সদস্যের সংখ্যা প্রশাসনিক সদস্যদের তুলনায় বেশি থাকবে, যাতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্ষমতা আরও দৃঢ় হয়।”