ভারতের নৌবাহিনীর জন্য আসছে রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকুলা ক্লাস পারমাণবিক সাবমেরিন – আইএনএস চক্র-৩। প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছিল ২০১৯ সালে। বিশেষভাবে ভারতের জন্য তৈরি এই সাবমেরিনটি লিজে দেওয়া হলেও, এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবেই কাজ করবে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো – সাবমেরিনটিতে যুক্ত হচ্ছে ৩এম১৪কে ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল, যার পাল্লা প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার! যেখানে আগের চক্র-২ সাবমেরিনের মিসাইলের সীমা ছিল মাত্র ৬০০ কিলোমিটার। এই আধুনিক মিসাইল ভারতকে সমুদ্রের গভীরতা থেকেই শত্রু দেশের ভেতরে লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করার ক্ষমতা দেবে।
Read more – পূর্ব বর্ধমান জেলার দেবীপুর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের বাথরুম থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার।
তবে, সবকিছু একেবারে সময়মতো হচ্ছে না। প্রথমে সাবমেরিনটির ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের মধ্যেই। কিন্তু রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সাপ্লাই চেইনের জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে ২০২৮ সাল পর্যন্ত গড়িয়েছে।
কিন্তু এই দেরির মধ্যেও আছে ইতিবাচক দিক—রাশিয়া এই সময়ের মধ্যে সাবমেরিনটির প্রযুক্তি ও অস্ত্রব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে, যা এটিকে আরও ভয়ংকর করে তুলেছে।
আইএনএস চক্র-৩ ভারতের জন্য কী কী সুবিধা নিয়ে আসছে?
১. দূরপাল্লার হামলার ক্ষমতা: সমুদ্র থেকে ১,৫০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা এখন ভারতের হাতে।
২. কৌশলগত ভয় তৈরি: পাকিস্তান ও চীনের মতো শত্রুরা এখন জানে—সমুদ্র থেকেও ভারতের পাল্টা আঘাত আসতে পারে।
৩. পারমাণবিক পরিচালনায় দক্ষতা: এই সাবমেরিন ভারতের পারমাণবিক শক্তির ব্যবস্থাপনায় বাস্তব অভিজ্ঞতা দেবে, যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।
সব মিলিয়ে, আইএনএস চক্র-৩ শুধু একটি সাবমেরিন নয়, এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক সক্ষমতায় এক বিশাল লাফ। গভীর সমুদ্র থেকে এখন ভারতের নজর আরও দীর্ঘ, আরও ধারালো।