সিরিয়ায় গুপ্ত অনুসন্ধানে ইসরায়েলের বড় সাফল্য, উদ্ধার তিন টনেরও বেশি অস্ত্র সিরিয়ার মাউন্ট হারমনে এক নাটকীয় অভিযানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে তিন টনেরও বেশি বিপজ্জনক অস্ত্র ও বিস্ফোরক। এটি শুধু একটি সামরিক সাফল্য নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের জন্য একটি কৌশলগত বিজয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।ইসরায়েলের ৮১০তম মাউন্টেন ব্রিগেড সিরিয়ার প্রাক্তন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে এই অনুসন্ধান চালায়। যেখানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিশেষ বাহিনী একসময় সক্রিয় ছিল। তবে আসাদের শাসন দুর্বল হওয়ার পর এই এলাকাগুলো এখন কার্যত জনশূন্য। এই অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী কোনও সংঘর্ষ ছাড়াই উদ্ধার করে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মাইন, রকেট ও ডজন ডজন আইইডি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মজুদ লেবাননের হয়ে হিজবুল্লাহর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে পৌঁছাতে পারত। অস্ত্র চোরাচালান রুখতেই এ ধরনের অভিযান আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
গোলান হাইটসের পার্বত্য অঞ্চলে আরও বহু পরিত্যক্ত ঘাঁটি এখনও চিহ্নিত হচ্ছে, যেগুলি আসাদের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। এখন সেইসব জায়গা হয়ে উঠছে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’—যেখানে গোপনে গড়ে উঠছে চোরাচালান ও সন্ত্রাসের ঘাঁটি। এদিকে, সিরিয়ার সুইদা শহরে ড্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন, যার মধ্যে ১৪ জন ড্রুজ ও ৪ জন বেদুইন। আহতের সংখ্যা ৫০-এর বেশি। ইসরায়েল পূর্বেই জানিয়েছে, তারা ড্রুজ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অতীতে দামেস্কের কাছে ড্রুজদের লক্ষ্য করে হওয়া এক আক্রমণ প্রতিহত করেছিল ইসরায়েল, একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে। এবারও তিন টন অস্ত্র জব্দ করে, তারা কার্যত দেখিয়ে দিল—যুদ্ধ ছাড়াই কিভাবে কার্যকর কৌশল নেওয়া যায়।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযান কেবল একটি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নয়—এটি একটি বার্তা। সিরিয়ার ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল কিভাবে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ক্ষেত্রে একাধিক মিশনে সফল হচ্ছে, সেটিরই একটি বড় উদাহরণ এই অভিযান।