মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে ইরান ও ইসরায়েল যদিও আপাতত সরাসরি যুদ্ধ নেই, তবে পরিস্থিতি দ্রুত রূপ নিচ্ছে এক গভীর সংকটে। আজ, মহররমের দশম দিন—আশুরার পবিত্র দিনে, ধারণা করা হচ্ছে ইরান তার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার পথে হাঁটতে চলেছে। দীর্ঘদিন পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই জনসমক্ষে দেখা দিয়েছেন। তবে গোপন পারমাণবিক কর্মসূচি কোথায় চলছে—তা রহস্যই থেকে গেছে। ফোরদো বা নাতান্জ নয়, ইরান তার সমস্ত কার্যক্রম সরিয়ে নিয়ে গেছে অজানা কোনো সুড়ঙ্গনগরে।
Read More – আমেরিকার নতুন এশিয়া কৌশল: আমেরিকার ভারত পাশে, চীন-পাকিস্তান চাপে!
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ইরান থেকে আইএইএ-র (IAEA) পরিদর্শক দলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে এখন ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের ওপর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন—এটা আর সন্দেহের পর্যায়ে নেই, ইরান এখন পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য এ এক বড় ব্যর্থতা। মোসাদ এবং সিআইএ এখনও খামেনেইয়ের অবস্থান কিংবা পারমাণবিক প্রকল্পের আস্তানা সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহে সফল হয়নি। শিয়াপ্রধান দেশগুলোর সমর্থন পেয়ে ইরান এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। ইরাক, লেবানন, ইয়েমেন, আজারবাইজান ও বাহরাইনের মতো শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলো এখন একত্রে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা যখন ইমাম হোসেনের শাহাদাত স্মরণ করছে, তখন ইরান থেকে আসতে পারে দুটি বড় ঘোষণা:
১) একটি গোপন পারমাণবিক পরীক্ষার খবর
২) এবং খামেনেইয়ের মুখে ইরানের ‘পারমাণবিক শক্তিধর’ হয়ে ওঠার ঘোষণা।
ইরান বলছে—যদি তাদের ওপর আঘাত আসে, তারা আর কোনো সীমারেখা মানবে না।
এটা স্পষ্ট, ইরান এখন শক্তি নয়, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়ে বিশ্ব রাজনীতির ব্যালান্স বদলে দিতে চায়।