গলসি বাজারে দিন দিন বেড়ে চলেছে ঔষধের দোকান, প্যাথোলজি, পলিক্লিনিক এবং আই সেন্টারের সংখ্যা। তবে এগুলির মধ্যে অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক নয়, যা স্বাস্থ্য দফতরের আইন লঙ্ঘন করছে।
গলসি আই কেয়ার এন্ড মেডিসিন হাউস: সন্দেহজনক কার্যকলাপ
গলসি আই কেয়ার এন্ড মেডিসিন হাউস একটি ডে-কেয়ার চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। তবে আমাদের প্রতিনিধি পরিদর্শন করে দেখতে পান:
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব।
- স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে অপারেশন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার বর্জ্য সেচ ক্যানেলে ফেলা হচ্ছে।
- ক্যানেলের দূষণে আশপাশের পরিবারগুলোর জল ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
ক্যানেলের দূষণ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি
সেচ ক্যানেলে ব্যবহৃত ডিসপোজাল সিরিঞ্জ, ব্যান্ডেজ, এবং অন্যান্য বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এর ফলে শতাধিক পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। এই দূষণ শুধু মানুষেরই নয়, জীবজন্তুর জীবনকেও বিপন্ন করছে।
গলসি আই কেয়ার এন্ড মেডিসিন হাউসের পেসেন্ট ওয়ার্ডটি সেচ দফতরের জমিতে অবস্থিত। প্রশ্ন ওঠে:
- একটি বেসরকারি সংস্থা কীভাবে সরকারি জমিতে ব্যবসা করার অনুমতি পেল?
- বাড়ির মালিক কীভাবে অনুমতি দিলেন?
গাড়ির বেআইনি ব্যবহার
সংস্থার ব্যবহৃত গাড়ি (WB42L-6439):

- ফিটনেস, ট্যাক্স, ইন্স্যুরেন্স, এবং পলিউশন সংক্রান্ত কাগজপত্র নেই।
- প্রাইভেট কার হলেও এটি কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
- NH-19 এর সার্ভিস রোডে বেআইনিভাবে পার্কিং করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে:
- স্বাস্থ্য দফতর, মোটর ভিকেলস দফতর এবং স্থানীয় থানার নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়ে।
- কীভাবে সংস্থাটি প্রশাসনকে এড়িয়ে এত বড় বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে?
গলসি আই কেয়ার এন্ড মেডিসিন হাউসের কার্যকলাপ শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়, প্রশাসনের কাজের ওপরেও প্রশ্ন তুলছে। দ্রুত এই বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।