বৃষ্টি নিয়ে কি বলছে হাওয়া অফিস ? কতদিন চলবে বৃষ্টি ? ভেবেছিলেন বর্ষা এসেছে বলে একটু স্বস্তি মিলবে… কিন্তু স্বস্তি তো দূরের কথা, সকাল-বিকেল যেন আবহাওয়া আপনাকে নিয়ে রীতিমতো খেলা খেলছে!
এক মুহূর্তে রোদে ঝলমল, পরের মুহূর্তেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তার পরেই আবার ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস। অফিসযাত্রী হোন বা স্কুলপড়ুয়া, হাতে ছাতা—পিঠে রেনকোট—তাও কপাল খারাপ হলে ভিজে যাচ্ছেনই! গত কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে এমনই টিপিক্যাল “বর্ষা-বলয়” আবহাওয়া।
আবহাওয়া দফতরের খবর বলছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর এখন সক্রিয় বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তার সঙ্গে জুটেছে একাধিক দুর্বিপাক—একদিকে ঘূর্ণাবর্ত, অন্যদিকে দুটো অক্ষরেখা। এর মধ্যেই গাঙ্গেয় বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপ এবং বায়ুর ঘূর্ণির জেরেই বৃষ্টি নামছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে।
বিশেষ করে সোমবার—কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ—সব জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। দিনভর মোট বৃষ্টিপাত হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার। তার সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে, ফলে ছাতা-রেনকোট সঙ্গে রাখতেই হচ্ছে।
তবে একটু স্বস্তির খবর—সোমবার পেরোলেই পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। নিম্নচাপ সরে যাবে ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তীসগড়ের দিকে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমবে কিছুটা। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জন্য বর্ষা এখনও থামছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি—এই সব জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আর এক গুরুত্বপূর্ণ দিক—সমুদ্র এখনও উত্তাল। বঙ্গোপসাগরের ওপর সক্রিয় নিম্নচাপের কারণে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে অন্তত ৮ তারিখ পর্যন্ত। সেই পর্যন্ত, আপনার একমাত্র ভরসা? ছাতা, রেনকোট, আর একটু ধৈর্য!