রাইস মিলের সাথে যোগসাজেস করে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সরকারি টোকেন নিয়ে ধান এন্ট্রি করছে। ধান না দিয়েই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকাচ্ছে। গলসি এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই চক্র। এই চক্রে যুক্ত গলসি এলাকার বেশ কয়েকটি রাইস মিল, কিছু সমবায় ও কয়েকটি সিপিসি। পুরো চক্রের ধিরে ধিরে পর্দাফাঁস করবো আমরা।
কিভাবে চলছে এই চক্র? জানলে চমকে যাবেন আপনি। আগেই বলে রাখি এই চক্রের প্রধান ভূমিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি রাইসমিল, যাদের মদতে চলছে এই কারবার। প্রথমে এইসব রাইসমিল মালিকেরা কিছু ফোরে দেরকে রেখেছে কিছু অ্যাকাউন্ট যোগার করার জন্য, যাদের সরকারি ধানক্রয় ওয়েসসাইটে নাম নথিভুক্ত আছে তারা পাচ্ছে বেশি কমিশন আর যাদের রেজিষ্ট্রেশন নেই তাদের ভাগচাষী সাজিয়ে সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
কারণ বেশ কিছু সি.পি.সি ও সমবায় এদের সাথে যুক্ত, রাইসমিল গুলি এদের প্রচুর টাকা দেয় বলে জানা গেছে। এই নথিভুক্ত ব্যাক্তিরা সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করছে দেখিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হয় টাকা, তারপর ফোড়ে দালালরা ওই ব্যাক্তিকে তার কমিশন কমকরে ১-২ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে মিলমালিককে ফেরত দিয়ে দেয়। দালালরা প্রতি টোকেনে ৭-৮ হাজার করে কমিশন পাচ্ছে।
এদের থেকেও বেশি মুনাফা থাকছে মিলমালিকদের। এর সাথে যুক্ত থাকছে বেশকিছু সি.পি.সি ও সমবায় তাদেরকেও মোটা টাকা কমিশন দেয় এই অসাধু মিলমালিকেরা। গলসি এলাকার বেশ কিছু গ্রামে রয়েছে এই দালাল চক্রের সদস্যরা, যাদের কাজ শুধু অ্যাকাউন্ট খোজা। গলসি এলাকার চাষিরা যখন নিজের এলাকাতে ধান বিক্রি করতে নানা সমস্যায় পড়ছে এই সব দালালরা তখন গলসি ছাড়াও বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অ্যাকাউন্ট এনে টাকা ঢোকাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের ধান কেনার যে টার্গেট সেই টার্গেট কি পুরণ করছে এই সব দালালরা? প্রশ্ন টা রয়ে গেল, রাইস মিলগুলির বিরুদ্ধে প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নেইনা সেটাই এখন ভাববার বিষয়। কারন এই চক্রর প্রধান কিন্তু বেশ কয়েকটি রাইসমিল মালিক।পরের কিস্তিতে দেখুন কোন কোন রাইস মিল, সমবায়,সি.পি.সি যুক্ত এই চক্রে? পর্দা ফাঁস করবো আমরা।