আবারও উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, কূটনীতি ব্যর্থ — এবার গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করার সময় এসেছে। হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তারা কোনও চুক্তি করতে চায় না, বরং মরতেই চায়। এখন সময় এসেছে কাজটা শেষ করার।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন হামাস যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। স্কটল্যান্ড সফরের আগে ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, ইজরায়েলকে এখন decisively অভিযান চালাতে হবে। তার ভাষায়, “তাদের খুঁজে বের করে সব সাফ করতে হবে।” এই মন্তব্য এসেছে মার্কিন শান্তি দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনার টেবিল থেকে সরে দাঁড়ানোর একদিন পর। উইটকফ বলেন, হামাস শান্তির পথে অনাগ্রহী, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, গাজা থেকে যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এখন তাদের অগ্রাধিকার। এদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি চরমে। গাজা মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ এবং ক্ষুধার্ত সাধারণ নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া প্রয়োজন। গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মৃত্যু হয়েছে আরও নয়জনের, যাদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় থেরাপিউটিক খাবারের মজুত প্রায় শেষ। জাতিসংঘের দাবি, ইজরায়েলি অবরোধের কারণেই এই মানবিক বিপর্যয়। তবে ইজরায়েল বলছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করেছে এবং দোষ দিচ্ছে জাতিসংঘের অব্যবস্থাপনাকে।
মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর অবশ্য বলছে, আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। গাজার আকাশে আবারও যুদ্ধের ছায়া। মানবিক দুর্যোগ আর রাজনৈতিক কৌশলের এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।