জানেন কি, কিছু খাবার আছে যা শরীরের সব জল শুষে নেয়! তাতে শরীর অসুস্হ হয়ে পড়তে পারে। সে কারণেই এই গরমের সময় অনেক রকমের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সুস্হ থাকতে এই গরমে কোন কোন খাবারের দিকে ভুলেও তাকাবেন না? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে। আপনারা তো জানেন,গরমকালে পেটের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এই সময় পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন খাবার খেতে হবে। অনেক খাবারই আছে যা শরীরের জল শুষে নেয়। তা থেকে ডিহাইড্রেশন তৈরি হয় এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই খাবারগুলি কি কি?
গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর জলীয় উপাদান বেরিয়ে যায়। তাই শরীর একটুতেই ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো এই সময়ে খেলে শরীর আরও বেশি শুকিয়ে যায় এবং নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই দেখে নিন কোন খাবার গুলি গরমকালে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাবেন না। চিপস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস বা প্রিজার্ভড খাবারে অতিরিক্ত নুন থাকে। নুন শরীর থেকে জল টেনে নেয়। তা ঘন ঘন প্রস্রাবের মাধ্যমে ডিহাইড্রেশন তৈরি করে। তাই গরমকালে এইসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
চা, কফি বা এনার্জি ড্রিঙ্কে থাকা ক্যাফেইন শরীরের ডিহাইড্রেশন বাড়ায়। এগুলো ডাইউরেটিক হিসেবে কাজ করে। ফলে শরীর থেকে জল দ্রুত বেরিয়ে যায়। তাই গরমের দিনে দু’বারের বেশি চা-কফি না খাওয়া উচিত। সিঙ্গারা, লুচি পরোটা, ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানির মতো মশলাদার ও তেলেভাজা খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। এগুলি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। এর ফলে ঘাম বেশি হয় এবং শরীরের জল দ্রুত কমে যায়।
কোল্ড ড্রিঙ্ক, সোডা, ফিজি ড্রিঙ্ক এবং বোতলজাত জুসে উচ্চ মাত্রার চিনি থাকে। এগুলো সাময়িকভাবে ঠাণ্ডা অনুভব করালেও শরীরের জল শোষণ করে নেয়। তাই এসব খাবার খাবেন না। হটডগ, সসেজ, ক্যানজাত সালামি ইত্যাদি প্রিজার্ভড মাংসজাত পণ্যে অতিরিক্ত নুন ও প্রিজারভেটিভ থাকে। এগুলোও শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করে এবং কিডনিতে বা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করুন। এমন খাবার বেছে নিন
যেগুলো শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। শসা, তরমুজ, কচি তাল শাঁস, ফলের রস,ডাবের জল পান করুন। বাড়িতে তৈরি হালকা ঝোল ভাত, সবজি খান।