গলসিতে তৃণমূল কার্যালয় বন্ধ, উদ্বেগে দলীয় নেতৃত্ব গলসির বিভিন্ন তৃণমূল কার্যালয়ে তালা পড়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। ঘাসফুল পতাকা উড়লেও, নেতাকর্মীদের দেখা নেই—কার্যালয়গুলোর দরজা বন্ধ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোতনা-পুরসা, শিড়রাই, পারাজ ও লোয়া-কৃষ্ণরামপুরের কার্যালয়গুলি বহুদিন ধরেই বন্ধ। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই এই অবস্থা। এরপর লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও অবস্থার বদল হয়নি। এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, গলসির তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই জানিয়েছেন, অশান্তি এড়াতেই কার্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমানে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
গোষ্ঠী সংঘর্ষেই অচলাবস্থা
দলের একাংশের দাবি, গলসিতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন ও বর্তমান সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। একাধিক অঞ্চলে পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্বে থমকে আছে সাংগঠনিক কাজ। শিড়রাই, লোয়া-কৃষ্ণরামপুর ও পারাজ অঞ্চলে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে দলীয় কার্যালয় খুলতে পারছে না। ফলে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ভোটের আগে সমাধানের আশ্বাস
এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে দলকে সংগঠিত করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে গলসির তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই আশ্বাস দিয়েছেন, ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক চললে ভোটের আগেই কার্যালয়গুলি খুলে যাবে। তবে বিরোধ মেটাতে কতটা দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।