তৃণমূল পরিচালিত গলসি ২ ব্লকের মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল পঞ্চায়েতের এক সদস্যা। ওই সদস্যা একিনা শেখ দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে ব্লক আধিকারিকের দারস্ত হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কাজ না করিয়েও ঠিকাদারকে প্রকল্পের বিল পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
Read More – সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা, রাজনীতির সম্ভাবনায় জল ঢাললেন ‘মহারাজ’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুন মাসে মসজিদপুর পিরতলাতে একটা সোলার পাম্প বসানোর অনুমোদন মেলে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। সেই মত এক ঠিকাদারকে দিয়ে কাজও শুরু করা হয়। কথা ছিল ১৫ ফুট উচ্চুতে একটা প্লাটফর্ম করা তার উপরে বসানো একটা জলের ট্যাঙ্ক। আর একটা সাবমার্সিবল পাম্প বসবে এবং সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে পাম্প চালু করা হবে। পাশাপাশি গড়া হবে একটা শোক পিট।
মঙ্গলবার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্লাটফর্ম গড় হয়েছে। তার নীচেতে নামানো রয়েছে কালো রঙের একটি ট্যাঙ্ক। তবে, সোলার প্যানেল এখনো লাগানো হয়নি, বসানো হয়নি সাবমার্সিবল। অতচ চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ দেখিয়ে, ঠিকাদারকে সোলার পাম্প বসানো খরচ বাবদ ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ টাকা বিল পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে। একিনা দেবী বলেন, “বার বার পঞ্চায়েত বলা হয়েছে। কোন তদন্ত হয়নি। প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। “

মসজিদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, “নির্মাণ সহায়ক কাজটা দেখেন। তিনি পেমেন্ট করার জন্য বিল করে দিয়েছেন। তাই আমি পেমেন্ট করে দিয়েছে।” তার দাবি, যদি দূর্নীতি হয়ে থাকে তার দায় নির্মাণ সহায়কের। আমার নয়। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মাণ সহায়ক অন্য বদলি হয়ে গিয়েছে। যাওয়ার আগে বিল তৈরি করে গেছেন। তবে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও (গলসি ২) মৈত্রেয়ী ভৌমিক। তিনি বলেন, “তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলাস্তরে জানানো হবে।”