পিত্তথলি – শরীরের এক ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি লিভারের নিচে অবস্থান করে এবং এর প্রধান কাজ হলো পিত্ত জমিয়ে রাখা। এই পিত্ত খাবার হজমে সহায়তা করে। কিন্তু কখনও কখনও এই পিত্ত থেকেই তৈরি হয় পাথর। আগে মনে করা হতো এটি শুধু বয়স্কদের রোগ, কিন্তু এখন তরুণদের মধ্যেও এর প্রভাব বাড়ছে।
Read more – বাজ পড়ার সময় ফোনে কথা বলেন! কী হতে পারে জেনে নিন
অনেক সময় পিত্তথলির পাথর কোনও লক্ষণ ছাড়াই শরীরে থেকে যায়। কিন্তু যখন পাথর পিত্তের প্রবাহ আটকে দেয়, তখন শুরু হয় তীব্র পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, এমনকি জ্বর। ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই এই যন্ত্রণা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
কি সেই ভুল অভ্যাসগুলো?
১. প্রসেসড ফুড খাওয়া – চিপস, বার্গার, পিৎজার মতো খাবারে ফাইবার কম, ফ্যাট বেশি। এগুলো পিত্ত ঘন করে তোলে, যা পাথর তৈরির সম্ভাবনা বাড়ায়।
২. ক্রাশ ডায়েট ও হঠাৎ ওজন কমানো – হঠাৎ ওজন কমাতে অনেকেই কিটো, ডিটক্স বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। এতে লিভার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ছাড়ে – আর তা পাথরের জন্ম দিতে পারে।
৩. অধিক সময় বসে থাকা ও মানসিক চাপ – সারা দিন এক জায়গায় বসে কাজ করা, স্ট্রেস নেওয়া এবং সময়মতো না খাওয়াও হজম ও বিপাকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে পিত্ত আটকে যেতে পারে, আর তৈরি হতে পারে পাথর।
৪. দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা ও হঠাৎ বেশি খাওয়া – অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার পর একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে পিত্তথলি ঠিকভাবে সংকোচন করতে পারে না। পিত্ত আটকে যায়, এবং সেটাই পরিণত হয় পাথরে।
কি করণীয়?
– ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
– নিয়মিত ও পরিমিত খাওয়া অভ্যাস করুন।
– হঠাৎ ডায়েট নয়, বরং ধীরে ধীরে ওজন কমান।
– দৈনন্দিন জীবনে হাঁটাচলা ও ব্যায়াম রাখুন।
– মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
পিত্তথলির পাথর কিন্তু এড়ানো যায়। সচেতন থাকুন, নিয়ম মানুন – নিজের শরীরকে দিন সুস্থ থাকার সুযোগ।