ঘুম থেকে উঠছেন দেরিতে। দুপুরের খাবার খেতে খেতে বেলা তিনটে। রাতের খাবার খাচ্ছেন বারোটায়। জানেন নিজের কতটা ক্ষতি করছেন আপনি? আপনি হয়তো বলবেন, কই, তেমন তো কোনও সমস্যা নেই, সবই তো ঠিকই চলছে। সত্যিই কি তাই? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কই বলছেন। একথা তো সবাই জানি যে, শরীরকে পুষ্টি জুগিয়ে তরতাজা রাখে খাবার। তাই শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস সব কিছুই খাদ্যতালিকায় থাকা প্রয়োজন। তবে শুধু খাওয়াদাওয়া করলে চলবে না। তা সময়মতো খাচ্ছেন কিনা, সেটা সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো খাওয়াদাওয়া না করলে হজমের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। নানান কাজের ব্যস্ততায় ব্রেকফাস্ট করেন না কেউ কেউ। এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। এতে শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বাড়ে। তার ফলে মানসিক উদ্বেগ, হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা বাড়ে।
মধ্যাহ্নভোজে দেরিতে করেন অনেকেই। দুপুর তিনটের পর আর ভুলেও ভারি এবং ঠান্ডা খাবার খাবেন না। তাতে হজমের সমস্যা হতে পারে। তেমনই রাত ১২টার পর নৈশভোজ সারেন অনেকে। এই অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্যাগ করুন। নইলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে। শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে পারে। এমনকী তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে ত্বকের বয়সও। লিভারের সমস্যাও দেখা দেয়। এখন অনেকেই রাত জেগে মোবাইলে চোখ রাখেন। তার ফলে ঘুমের আর দেখা নেই। রাত জাগতে জাগতেই অনেকেরই মধ্যরাতে খিদে পেয়ে যায়। ফ্রিজে থাকা চকোলেট, মিষ্টি মুখে ফেলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাতে অনিদ্রা, চোখের কোণ ফোলা, ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।