সম্প্রতি দিল্লির AIIMS-এর দুই চিকিৎসক জানিয়েছেন, মুখের মাড়ি বা দাঁতের সংক্রমণ থেকে কিছু বিশেষ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়— যেমন Porphyromonas gingivalis ও Prevotella intermedia, যা মুখগহ্বর ক্যানসার এবং ‘হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার’-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গলা, স্বরযন্ত্র, নাক, টনসিল বা খাদ্যনালির উপরের অংশে যে ক্যানসার হয়, তাকেই বলা হয় এই ধরনের ক্যানসার। তবে চিন্তার কিছু নেই। সচেতন থাকলে, নিয়ম মানলে, খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
Read More – অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
দাঁতের সুস্থতায় যেভাবে নিজেকে রাখবেন নিরাপদ
১. ছোট অস্বস্তিও এড়িয়ে যাবেন না – দাঁতে ব্যথা, শিরশিরানি বা মাড়ি ফুললে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করুন – দিনে অন্তত দু’বার, বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা অভ্যাস করুন।
৩. নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন – এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর ব্রাশ বদলান। শক্ত ব্রাশে এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
৪. শিশুদের দাঁতের যত্নে গুরুত্ব দিন – দুধের দাঁত থেকেই যত্ন শুরু হওয়া উচিত। নিয়মিত কুলকুচির অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. মিষ্টি বা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার পর গার্গল করুন – মুখের পিএইচ ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে গার্গল।
৬. ফ্লস ব্যবহার করুন – দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার সরাতে খাওয়ার পর ফ্লস করুন। প্রয়োজনে কারও সাহায্য নিন।
৭. অপ্রয়োজনে মেডিকেটেড টুথপেস্ট ব্যবহার নয় – চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের পেস্ট ব্যবহার করা ঠিক নয়।
৮. নিয়মিত দাঁতের চেক-আপ করুন – প্রতি ৬ মাস অন্তর একবার দাঁতের অবস্থা যাচাই করান, এমনকি কোনও সমস্যা না থাকলেও।
সুস্থ দাঁত মানেই শুধু ঝকঝকে হাসি নয়, বরং রোগমুক্ত জীবনযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় — এটাই এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্পষ্ট বার্তা। তাই অবহেলা নয়, দাঁতের যত্নে আজ থেকেই হোন একটু বেশি যত্নবান।