রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের পর এবার চীন ও জার্মানির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটির কেন্দ্রবিন্দু একটি লেজার অস্ত্র, যা সম্প্রতি একটি জার্মান নজরদারি বিমানে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, ২ জুলাই লোহিত সাগরের কাছে ইয়েমেন উপকূলে মিশনে থাকা জার্মানির ‘বিচক্রাফ্ট কিং এয়ার ৩৫০’ মডেলের একটি অসামরিক নজরদারি বিমান আচমকাই লেজার রশ্মির আওতায় আসে।
Read More – আমেরিকার নতুন এশিয়া কৌশল: আমেরিকার ভারত পাশে, চীন-পাকিস্তান চাপে!
বিমানে থাকা পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানটিকে জিবৌটিতে ইউরোপীয় ঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনেন। বিমানে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর চারজন সদস্যও ছিলেন। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে উঠে আসে, লেজার রশ্মির উৎস ছিল এডেন উপসাগরের কাছে অবস্থানরত একটি চীনা যুদ্ধজাহাজ।
বার্লিন এই ঘটনাকে ‘গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি’ বলে অভিহিত করে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। চীন অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, কোনো যুদ্ধজাহাজ থেকে এমন কিছু করা হয়নি। তবে অতীতে বিভিন্ন বিদেশি বিমানে লেজার হামলার অভিযোগ উঠলেও, চীন বরাবরই এসব অস্বীকার করে এসেছে। এই ঘটনা ফের সামনে এনে দিয়েছে লেজার অস্ত্রের প্রতিযোগিতা এবং এর নিয়ন্ত্রণ ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ।
শক্তিশালী লেজার প্রযুক্তি এখন শুধু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে নয়, মাঝআকাশে বিমান অন্ধ করে দেওয়ার মতো হুমকি তৈরি করতে পারছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ ও ভারত-পাকিস্তানের অপারেশন ‘সিন্দু’র মতো আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে লেজারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভবিষ্যতে এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।