পথে ঘাটে, ক্লাবে কিংবা বাড়ির কোণায়—হাতে মোবাইল, চোখ স্ক্রিনে। ফ্রি ফায়ার, পাবজি, বিজিএমআই—এইসব অনলাইন গেম এখন যেন তরুণ প্রজন্মের নয়া নেশা। আর এই নেশা রুখতেই অভিনব দাওয়াই ছত্তীসগঢ়ের একাধিক পঞ্চায়েতের। কবীরধাম জেলার গহিরাভেড়ি পঞ্চায়েতে চালু হয়েছে কড়া নিয়ম। কোনও শিশুকে যদি দেখা যায় এই ধরনের গেম খেলতে, তবে তার অভিভাবককে গুনতে হবে ৫,০০০ টাকা জরিমানা। শুধু তাই নয়, এই নিয়ম ভাঙার খবর দিলে খবরদাতাকে দেওয়া হবে ১,০০০ টাকা পুরস্কার। লক্ষ্য একটাই—মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে শিশু-কিশোরদের মুক্ত করা, ফেরানো পড়াশোনা, খেলাধুলো এবং সৃষ্টিশীলতার পথে।
এখানেই থেমে থাকেনি পদক্ষেপ। সচেতনতা বাড়াতে মাসে তিন বার পুরো গ্রামে চালানো হচ্ছে প্রচার অভিযান। শুধু পঞ্চায়েত সদস্য নয়, এই উদ্যোগে সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষও।গহিরাভেড়ির মোড়ল বেদবাই পোর্তে জানিয়েছেন, “মোবাইল গেম শিশুদের ধ্বংস করছে। আমরা চাই ওরা মন দিক পড়াশোনায়, খেলাধুলোয়, আর সৃষ্টিশীলতায়।”
এদিকে, পার্শ্ববর্তী রাজনন্দগাঁও জেলার মথালডাবরি পঞ্চায়েত নেমেছে মদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। গ্রামে বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করলে জরিমানা ৩১,০০০ টাকা। প্রকাশ্যে মদ্যপান? তাহলে দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। শুধু কড়া আইনেই থেমে থাকেনি উদ্যোগ—পুরো গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে নিয়েছেন মদ ছাড়ার শপথ।দুই পঞ্চায়েতের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক সাহসী বার্তা। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে, সম্মিলিত উদ্যোগ আর সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকলে, গড়ে তোলা যায় এক স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ।