ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যের মধ্যে রয়েছে—যেখানে একদিকে রয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতার আগ্রহ, অন্যদিকে রয়েছে নিরাপত্তা ও আস্থার প্রশ্ন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা সম্পর্কের উন্নতি দেখা গেলেও, ভারত এখনো চীন থেকে সরাসরি বিনিয়োগে ছাড় দিতে রাজি নয়। সূত্রের মতে, মোদী সরকার ২০২০ সালের “প্রেস নোট ৩” শিথিল করার কোনো পরিকল্পনা করছে না। প্রেস নোট ৩ অনুযায়ী, যেসব দেশ ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত ভাগ করে, তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি অনুমোদন নিতে হয়। মূলত ২০২০ সালে কোভিড-১৯ ও গালওয়ান সংঘাতের প্রেক্ষিতে এটি চালু করা হয়েছিল, যেন বিদেশি সংস্থাগুলি ভারতীয় ব্যবসাকে শত্রুতা বা দুর্বলতার সুযোগে অধিগ্রহণ করতে না পারে। এখন এটি শুধু অর্থনৈতিক সুরক্ষার বিষয় নয়—জাতীয় নিরাপত্তার অংশও।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত চীনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের মতো খাতে। তবে এই সহযোগিতা হবে সতর্কতার সঙ্গে। ভারতের অবস্থান পরিষ্কার: অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো যেতে পারে, কিন্তু দেশের নিরাপত্তা কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়। এই প্রেক্ষাপটে, প্রেস নোট ৩ এখন ভারতের কৌশলগত নীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এর মাধ্যমে ভারত একদিকে বিনিয়োগের সুযোগ রাখছে, অন্যদিকে চীনের ভূ-কৌশলগত মনোভাবের প্রতি কড়া বার্তা দিচ্ছে—যতক্ষণ না পারস্পরিক বিশ্বাস ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, ততক্ষণ দরজা পুরোপুরি খুলবে না।