“বর্ধমানের কালীবাজারে বেআইনি বিল্ডিং উচ্ছেদ | পৌরসভার কড়া পদক্ষেপ”

বেআইনিভাবে তৈরি বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করল বর্ধমান পৌরসভা। বর্ধমানের কালীবাজারে আট তলার একটি বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করল বর্ধমান পৌরসভাজি টি রোডের পাশে বেআইনিভাবে এই বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।আগেই কাজ বন্ধের নোটিশ জারি করেছিল পৌরসভা।বাড়ির মালিককে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই তরফে তেমন সাড়া মেলেনি বলে দাবি পৌরসভার। এবার পূর্ব ঘোষনা মতো বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করলো পৌরসভা।

বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব। কালী বাজার মোড়ে সবার চোখের সামনেই চলছিল বিল্ডিং তৈরির কাজ। এক এক করে তৈরি হয়ে গিয়েছিল আট তলা। শেষে জানা যায়, বেশিরভাগ নির্মাণই নাকি বেআইনি। তাই এবার সেই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করলো পৌরসভা। এদিন সকালে কর্মীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন পৌরসভার আধিকারিকরা। শুরু হয় বিল্ডিং ভাঙার কাজ। অশান্তি রুখতে হাজির ছিল বর্ধমান থানার পুলিশও।

পুরো বিল্ডিংটাই নাকি তৈরি হয়েছে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই। এজন্য নাকি পুরসভার কাছ থেকে যথাযথ প্ল্যানও নেওয়া হয়নি। তা শুনে তাজ্জব বাসিন্দারা। কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই কী করে গড়ে উঠলো এতো বড় বিল্ডিং! এখন সেই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করল পৌরসভা।

বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরির অনুমোদন ছিল। কিন্তু একদিকে সাততলা ও তার পাশে আট তলা তুলে ফেলা হয় প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই। এরপর আমরা পরিদর্শনে যাই। কাজ বন্ধ করার নির্দেশ জারি হয়। বর্ধমান থানায় বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।বার বার ডাকা হলেও বাড়ির মালিক প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে দেখা করেননি। এর পর বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাড়ির মালিক নিজে থেকে ভাঙার কাজ শুরু না করায় পুরসভাকে সে কাজ করতে হল। বাড়ির মালিক তুহিনকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের দ্বারস্হ হবেন তিনি। এদিন তাঁকে ওই বিল্ডিংয়ে দেখা যায়নি।

অন্যান

অন্যান