রূপকথা নয়, সত্যিই রয়েছে মৎস্যকন্যা! সমুদ্র থেকে উঠে নির্জন দ্বীপে রোদ পোহায় সে? এরাজ্যেই জন্ম হল এক মৎস্যকন্যার। শরীরের ওপর অংশ মানুষের মতো হলেও কোমরের নিচের অংশ অবিকল মাছের লেজের মতো। কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা? এমনই এক শিশুকন্যার জন্ম হল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাটোয়ার এক প্রসূতি প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারে প্রসূতি মৎস্যকন্যার জন্ম দেন। তা দেখে হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই শিশুকন্যাদের মারমেইড গার্ল বলা হয়। হাসপাতালের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, সদ্যোজাত শিশুকন্যাটির দেহের উপরিভাগ মানব শরীরের মতো হলেও কোমরের নিচ থেকে পাদুটো জোড়া লেগে মাছের ল্যাজার মত দেখতে লাগছিল। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা বিশেষ চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ভোরের দিকে ওই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন,এক প্রসূতির সিজার করে একটি মারমেইড বেবি অর্থাৎ মৎস্য কন্যার জন্ম হয়েছিল। রূপকথা বা গ্রিক গল্পে এই মৎসকন্যাদের কথা শোনা যায়। এই ধরনের বেবিকে অস্ত্রোপচার করে বাঁচানো যায় না। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।