ক্লাসে কেউ অবহেলিত নয়, পড়ুয়াদের এটা বোঝাতে কেরল মডেলে শুরু হয়েছে ‘নো মোর ব্যাকবেঞ্চার্স পদ্ধতি’তে পঠন-পাঠন ৷ স্থানার্থী কুত্তান ৷ ভিনেশ বিশ্বনাথ পরিচালিত এই মালয়ালম চলচ্চিত্রটি 2024 সালের নভেম্বরে মুক্তি পায় ৷ পরবর্তী সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও চলচ্চিত্রটি রিলিজ করা হয়েছে ৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে পরিচালিত এই ছবিটির শুটিং হয়েছিল কেরলের তিরুবনন্তপুরমের একটি সরকারি স্কুলে ৷ চারজন অবাধ্য ছাত্রকে কীভাবে পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা গেল, তা নিয়েই মূলত এই ছবি ৷ ওই চার ছাত্রের জন্য চলচ্চিত্রে নো ব্যাকবেঞ্চার্স পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল ৷
Reda More – http://গলসির তৃণমূল কার্যালয়ে রাতে চুরি! আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র উধাও
এই ছবি দেখেই কেরলের বিভিন্ন স্কুলে প্রথম শুরু হয় ‘নো মোর ব্যাকবেঞ্চার্স’ পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন ৷ পরবর্তীতে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে তামিলনাডু ও পঞ্জাবের কিছু স্কুলেও ৷ এবার বাংলাতেও চালু হল ‘নো মোর ব্যাকবেঞ্চার্স’ পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন ৷ পশ্চিমবঙ্গের খানো ১ নম্বর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত সব ক্লাসেই এই অর্ধ বৃত্তাকারে বসিয়ে ক্লাস করানো শুরু হয় ।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীই অবহেলিত নয় ৷ প্রত্যেক পড়ুয়াই তাঁদের কাছে সন্তানসম ৷ তাই আর কোনও পড়ুয়া পিছনের বেঞ্চে বসবে না ৷ এতে সবাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা ঠিকভাবে শুনতে পারবে, পড়া বুঝতে পারবে ৷ পরীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষারই একটি অঙ্গ ৷ সেটাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই ৷ সারা বছরের অর্জন করা জ্ঞান একবার শুধু পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য পরীক্ষা ৷ তাই যে সবার আগে পড়া বুঝতে পারে, সে যেমন সবার আগে বসবে, যে পড়া বুঝতে অনেকটা সময় নেয় সে’ও বসবে সবার আগে ৷ একই জায়গায় সবাই বসবে ইংরেজির ইউ আকৃতিতে ৷ শিক্ষক বা শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শিক্ষাদান করবেন ৷ এটাই নো মোর ব্যাকবেঞ্চার্স পদ্ধতির মূল তত্ত্ব ৷