পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গেঁড়াই গ্রামে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি,অশান্তি।এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।স্থানীয় স্কুল মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি বোমা। হাতাহাতিতে আহত ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন। গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও বোমাবাজি।দলের কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় আহত হয়েছেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃনমূলের সভাপতি সেখ আব্দুল লালন। এই এলাকায় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
Read More – লাগাতার বিক্ষোভের জের, স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্যের
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে স্থানীয় শাসকদলের কার্যালয়টি ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর দখলে আছে।গতকাল বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকেরা সেটি দখলের জন্য আসে বলে অভিযোগ।দুই পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে সংঘাত শুরু হয়।তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি গোলাম মোল্লা জানান, কিছু দুস্কৃতী এখানে ঝামেলা শুরু করে।ব্লক সভাপতি তাদের থামাতে গেলে তার গায়ে হাত দেওয়া হয়।মারধর করা হয় তার ছেলে তথা দলের যুব নেতাকেও। এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি।বোমা মারা হয় পার্টি অফিসের পাশে।কাছেই ব্লক সভাপতির বাড়ি।

আউশগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুই জানান, এলাকায় উন্নয়নের ধারায় কিছু মানুষ বাধা দিতে চাইছে। তারা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে। তারা কিছুদিন আগেও অন্যদল করত। এখন বিধায়কের লোক পরিচয় দিয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছে। অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তারা বলছেন,বোমাবাজিতে বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। এলাকায় কিছু লোক অশান্তি পাকাচ্ছে। আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার ফোনে জানান, তিনি ৯ তারিখ থেকে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় আছেন। গেঁড়াই গ্রামে কী হয়েছে তা জানেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।