ধর্ষণে উদ্যত যুবকের কামড় আঁচড়ে জখম বধূ সর্বশক্তি নিয়োগ করে ছুটে পালিয়ে নিজের সম্ভ্রম বাঁচালেন।এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে। দিনে দুপুরে এতবড় একটা কাণ্ড ঘটিয়ে অভিযুক্ত যুবক রফিকুল শেখ অবশ্য পার পায়নি।বধূর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই রফিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। যুবকে দুঃসাহসের কথা কথা জেনে স্তম্ভিত মঙ্গলকোটের বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর চল্লিশের ওই বধূর স্বামী লটারির টিকিট বিক্রেতা । ব্যবসার প্রয়োজনে অধিকাংশ সময় তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় । বধূর একমাত্র ছেলে বাইরে কাজ করে।অন্যদিকে পেশায় রাজমিস্ত্রি রফিকুল শেখের বাড়ি মঙ্গলকোট থানার কুরুম্বা গ্রামে। বধূদের বাড়ির পাশে একটি নির্মিয়মান বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল কাজ করছিলেন
।
বধূ পুলিশ কে জানিয়েছেন,মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ির উনানে ভাতের হাঁড়ি চাপিয়ে তিনি সব্জি কাটছিলেন।সেই সময় গোপনে তাঁর উপর রফিকুল শেখ যে নজর রাখছিল তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।বধূর অভিযোগ ,হঠাৎতই চুপিসারে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁর মুখ চেপে ধরে তাঁকে ধর্ষণে উদ্যত হয় রফিকুল।তখন নিজেকে বাঁচতে তিনি সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।সেই সময় তাঁর শরীরের একাধীক জায়গায় কামড়ে ও আঁচড়ে দিয়ে রফিকুল ক্ষতবিক্ষত করে দেয় ।
এরপর সর্বশক্তি নিয়োগ করে কোনো রকমে তিনি রফিকুলের খপ্পর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করতে করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন।তাতেও তিনি রেহাই পান না। বধূ জানান ,তাঁদের বাড়ির দাওয়ায় থাকা একটা কাটারি তুলে নিয়ে তাঁকে রফিকুল তাড়া করে।
তখন প্রাণ বাঁচাতে তিনি চিৎকার জুড়ে দেন। তার চিৎকারর শুনে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে রফিকুল কাটারি ফেলে মাঠে মাঠে ছুটে পালিয়ে যায় ।প্রতিবেশীরাই ক্ষতবিক্ষত বধূকে স্থানীয় সিঙ্গত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়।চিকিৎসায় সুস্থতা অনুভব করার পর সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজনের সাথে মঙ্গলকোটের কৈচর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে বধূ অভিযোগ জানান রফিকুল শেখের বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করে রাতেই অভিযুক্ত রফিকুল শেখ কে পুলিশ গ্রেফতার করে।বুধবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।