ভোর পাঁচটা।সাধারণ মানুষের চোখে তখনও ঘুম। কিন্তু একটা মানুষ, শহর থেকে বহু দূরে, ইলামবাজারের এক কোণে — ক্যামেরা হাতে হাঁটছেন। পরনে লাল গেঞ্জি। মাথায় বাঁধা গামছা। আপনি তাঁকে চেনেন… কিন্তু আজ তিনি কিছুটা অচেনা। তিনি, অরিজিৎ সিং ।”গায়ক? অবশ্যই। সুরকার? নিঃসন্দেহে। কিন্তু এবার… পরিচালক। সেই পরিচয়, যেটা এখনো অনেকেই জানেন না। আর যেটা জানলেও, আসল গল্পটা এখনো বলা হয়নি।২০১৬ সাল। গানের ফাঁকে ফাঁকে, একটা গল্প তাঁকে ধরে ফেলেছিল।একটা শিশুর গল্প। নাম — ‘লালু’।নামটা পরে বদলে যায়। কারণ এই গল্পটা কেবল একটা নামের নয়,এটা ছিল সুরের জন্মের গল্প। তাই ছবির নাম — ‘সা’।সাত সুরের শুরু… সেখান থেকেই যাত্রা।” “তিনি নিজে হেঁটেছেন শ্যামবাজারের অলিগলিতে।
Read More – গলসির বালি খাদানে দামোদরের জলে ডুবে গেল লড়ি ও JCB
লোক দেখানো শ্যুটিং নয়, রেকি, স্কেচ, ভাবনা— সবটাই নিজে হাতে। ২০১৮-তে কাজ শেষ। কিন্তু ‘সা’ ছবিটা এখনও মুক্তি পায়নি। কারণ অরিজিৎ জানেন — সময় না এলে সুর ধরা পড়ে না। তবে… সময় কি এবার এসে গিয়েছে?””এই প্রশ্নের জবাব আমরা পেতে পারি, কিন্তু ঠিক তখনই… তিনি শুরু করেছেন দ্বিতীয় ছবির কাজ। এইবার না কলকাতা, না শহরের আলো… তিনি গেছেন ইলামবাজারে। ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মুম্বইয়ের একটা ছোট্ট টিম নিয়েই রেকি করছেন নতুন ছবির লোকেশন। কিন্তু গল্পটা কী? কে অভিনয় করছেন?আরও আশ্চর্য… কেন এত গোপনীয়তা?” “না, অরিজিৎ কিছুই বলছেন না। না তাঁর টিম।
একদম চুপ। কিন্তু এ চুপ করে থাকা, যেন একটা গল্প বলার আগের নিঃশ্বাস নেওয়া। আমরা শুধু জানি— কিছু একটা আসছে। কিছু একটা, যেটা শুধু গান বা সিনেমা নয়… মনের ভেতর সুর তুলে দেওয়া একটা অনুভব।‘সা’ ছবিতে রয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায়। আর দ্বিতীয় ভাগে থাকছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবুও গল্পের আসল চরিত্র একটাই — সুর। আর পরিচালক একজন — অরিজিৎ সিংহ।‘সা’ – খুব শীঘ্রই আসছে… আর তার আগেই হয়তো
আপনার চোখে পড়বে এক অচেনা পরিচিত মুখ।
