অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে রাজ্যে চালু হল নতুন ফেস রেকগনিশন সিস্টেম। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এতদিন পর্যন্ত কোনও শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে না গেলেও তার পরিবারের কেউ এসে খাবার নিয়ে যেতে পারতেন। ফলে অনেক সময়ই ঠিকমতো হাজিরা যাচাই করা যেত না। কিন্তু এবার থেকে শিশুর উপস্থিতি না থাকলে সে খাবার পাবে না—এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি তরফে।
নতুন ব্যবস্থায়, শিশু বা তার মায়ের মুখের ছবি মিলিয়েই খাবার দেওয়া হবে। শুধু খাবারই নয়, মুখের ছবির মাধ্যমে হাজিরাও নথিভুক্ত হবে। এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপ—‘পোষণ অ্যাপ’। রাজ্যের প্রতিটি উপভোক্তার ছবি ও যাবতীয় তথ্য এই অ্যাপে আপলোড করতে হবে।
বর্তমানে রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার। উপভোক্তার সংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি। এদের মধ্যে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, সদ্য মা হয়েছেন এমন মহিলা, এবং ৬ মাস থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুরা। নতুন ব্যবস্থায় এদের প্রত্যেকেরই ছবি এবং অন্যান্য তথ্য আপলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
Read nore – সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা, রাজনীতির সম্ভাবনায় জল ঢাললেন ‘মহারাজ’
সমাজ কল্যাণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন মোবাইল নম্বর বা আধার নম্বর দিয়েই অনেক কাজ চলত। কিন্তু এবার থেকে মুখের ছবি মিলিয়ে তবেই সেই ব্যক্তি বা শিশুকে উপভোক্তা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী মিলবে খাবার।
প্রথম ধাপে বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে শুধুমাত্র মায়েদের ছবি আপলোডের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে সব উপভোক্তার ছবি সংগ্রহ করে আপলোড করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার এই কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সমাজ কল্যাণ দফতর।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এটি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রযুক্তিগত কারণে হয়তো অনেক শিশুই সময়মতো খাবার পাবে না বা তথ্য মেলাতে সমস্যা হতে পারে। তবে প্রশাসনের আশা, এই নতুন প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থায় উপভোক্তাদের সঠিকভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া আরও সহজ ও নিশ্চিত হবে।