গলসিতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের নতুন অভিযোগ ওঠার পর পূর্ব বর্ধমানের গোহগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গোহগ্রামের আমতলার নিকটে এই বালি খাদান এলাকার ঘাট হিসেবে পরিচিত।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালি খাদান কোম্পানি লিজ নেওয়া সীমানা ছাড়িয়ে অন্য স্থানে জেসিপি মেশিন দিয়ে বালি তুলছে। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
নদীর গতিপথে পরিবর্তন ও পরিবেশ ক্ষতি
অভিযোগ রয়েছে, খাদান কর্তৃপক্ষ ইট এবং পাথর দিয়ে নদীর মধ্যে রাস্তা তৈরি করেছে, যা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছে এবং এলাকার পরিবেশের ক্ষতি সাধন করছে। পূর্বে এমন কর্মকাণ্ডের ফলে নদীর জলবাহিত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়েছিল, এবং পরিবেশবিদরা এর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতা
স্থানীয়দের দাবি, বালি খাদানের মালিক অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি উপেক্ষা করছেন। এই অভিযোগ অনুযায়ী, খাদান কোম্পানি প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেআইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং প্রশাসন তাতে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও উদ্বেগ
স্থানীয়রা জানান, গত বছরও একই কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে প্রশাসন কার্যত নীরব। এবার খাদান খোলার সাথে সাথেই ১১ই নভেম্বর থেকে তারা বেআইনি কার্যক্রম শুরু করেছে বলে অভিযোগ।
গলসির গোহগ্রামের অবৈধ বালি উত্তোলন এবং প্রশাসনের নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়রা বালি খাদান কোম্পানির প্রভাব ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।