২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, Air india flight crash report (এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট )১৭১-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)। ১২ জুন এই বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের পরপরই ভেঙে পড়ে, এবং তাতে ২৬০ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল?
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানের দুইটি ইঞ্জিনের ফুয়েল কাট-অফ সুইচ RUN থেকে CUTOFF অবস্থায় চলে যায় মাত্র ১ সেকেন্ড ব্যবধানে, সকাল ৮:০৮:৪২ UTC-তে, যখন বিমানটির গতি ছিল ১৮০ নটস। এতে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দুই ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়ে।
তবে এই সুইচ পরিবর্তনের কারণ এখনো জানা যায়নি — এটি মানবিক ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটি, না কি ইলেকট্রনিক ত্রুটি — তা তদন্তাধীন।
- ✅ আবহাওয়া: পরিষ্কার আকাশ, হালকা বাতাস
- ✅ বার্ড স্ট্রাইক: প্রমাণ মেলেনি
- ✅ বিমান কনফিগারেশন: সঠিক ছিল (Flaps 5°, ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ করছিল)
- ✅ ওজন ও ব্যালেন্স: নিয়মের মধ্যেই ছিল
- ✅ জ্বালানির গুণমান: পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
- ✅ ইঞ্জিনের পূর্ব সমস্যা: রিপোর্টে কিছু ধরা পড়েনি
সূত্র: AAIB প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন (June 2025)

পাইলটদের ভূমিকা ?
Cockpit Voice Recorder (CVR)-এ ধরা পড়ে এক পাইলট আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করছেন, “তুমি কেন ফুয়েল কাট করলে?” আর উত্তর আসে, “আমি করিনি। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্তত একজন পাইলট জানতেন না কেন জ্বালানি বন্ধ হয়ে গেল। এটি মানবিক ভুল হলেও অনিচ্ছাকৃত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে।
বিমানের প্রযুক্তিগত অবস্থা কেমন ছিল?
বিমান VT-ANB-এর রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড ছিল পরিষ্কার
FAA ২০১৮ সালের এক পরামর্শমূলক রিপোর্ট (SAIB No. NM-18-33)-এ সম্ভাব্য লকিং ত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল
তবে এই নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় Air India সেটি অনুসরণ করেনি
Throttle Control Module দুইবার (২০১৯ ও ২০২৩ সালে) পাল্টানো হয়েছিল, কিন্তু Fuel Switch নিয়ে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি
দুর্ঘটনার আগে বিমানের ভেতরে কী ঘটেছিল?
First Officer Clive Kunder ছিলেন পাইলট ফ্লাইং
Captain Sumeet Sabharwal ছিলেন পাইলট মনিটরিং
জ্বালানি কাট-অফের ১০-১৪ সেকেন্ডের মধ্যে তারা সুইচ আবার RUN অবস্থায় ফেরত দেন
Engine 1 ও Engine 2 উভয়েই অটোমেটিক রিস্টার্ট শুরু করেছিল
তবে তখন বিমান মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল—এমন অবস্থায় ইঞ্জিন রিস্টার্ট সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে
First Officer Clive Kunder ছিলেন পাইলট ফ্লাইং
Captain Sumeet Sabharwal ছিলেন পাইলট মনিটরিং
জ্বালানি কাট-অফের ১০-১৪ সেকেন্ডের মধ্যে তারা সুইচ আবার RUN অবস্থায় ফেরত দেন
Engine 1 ও Engine 2 উভয়েই অটোমেটিক রিস্টার্ট শুরু করেছিল
তবে তখন বিমান মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল—এমন অবস্থায় ইঞ্জিন রিস্টার্ট সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে
- ✅ ব্ল্যাক বক্সের ৪৯ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণ
- ✅ CVR (Cockpit Voice Recorder)-এর ২ ঘণ্টার রেকর্ড মূল্যায়ন
- ✅ ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের যান্ত্রিক বিশ্লেষণ
- ✅ প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার
- ✅ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে রেকর্ড সংগ্রহ
AAIB স্পষ্ট করে বলেছে: “এই তথ্য প্রাথমিক এবং ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে।“