এসি থেকে সরাসরি রোদে বেরচ্ছেন! তাহলে সাবধান হোন। জানেন এর ফলে কী কী হতে পারে? এখন অনেক অফিসেই সেন্ট্রাল এসি। অনেকে এসি গাড়িতে যাতায়াত করেন। অনেকের বাড়িতেও এখন এসি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু জানেন কি এয়ার কন্ডিশন ঘর থেকে রোদে বেরলে কি হয়? আপনারা তো জানেন, এসির ঠান্ডা হাওয়া শরীরের তাপ কমিয়ে দেয়। শরীর সতেজ রাখে। কিন্তু এসি ঘর থেকে সরাসরি রোদে বেরোলে আপনার অজান্তেই শরীর অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে। এসি রুমের ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাইরের উত্তাপের মধ্যে পার্থক্য শরীরকে আঘাত করে। এর ফলে আপনার হার্টবিট এবং রক্তচাপে হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে। হৃদরোগীদের জন্য এটা বিপজ্জনক।
এয়ার কন্ডিশনারযুক্ত ঘরে থাকার সময় শরীরের জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে রোদে বেরোলে, শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ঠান্ডা পরিবেশ থেকে হঠাৎ গরম পরিবেশে যাওয়া নাক ও গলার ঝিল্লির ওপর প্রভাব ফেলে। এতে সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথা হতে পারে। এটি অ্যালার্জি বা অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।এয়ার কন্ডিশনারের শুষ্ক বাতাস এবং রোদের তীব্র আলো, ইউভি রশ্মির সমন্বয়ে ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এতে রোদের তাপের প্রভাব, ত্বকের জ্বালা বা অ্যালার্জি হতে পারে। এসির শুষ্ক বাতাস এবং রোদের তীব্র আলো চোখে শুষ্কতা, জ্বালা বা চোখ লাল হওয়ার কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন হলে চোখের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন পেশীতে ক্র্যাম্প বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা শারীরিক কার্যকলাপ কম করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই এসি ঘর থেকে সরাসরি রোদে বেরোবেন না। খুব ঠান্ডা থেকে আগে ছায়াযুক্ত নন এসি পরিবেশে কিছুক্ষণ কাটান। তারপর অপেক্ষাকৃত গরমে যান।