তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে যে বড়সড় রদবদলের হাওয়া বইছে, তার আঁচ এবার গলসিতেও! ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বসছে তৃণমূলের ‘মেগা বৈঠক’। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক নিজে, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং ভোট-কুশলী সংস্থা আই-প্যাক-এর কর্তা প্রতীক জৈন। আর এই বৈঠকের মূল এজেন্ডা? জেলাস্তরের সংগঠন ঢেলে সাজানো — বিশেষ করে ব্লক সভাপতিদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সূত্র বলছে, আই-প্যাকের সমীক্ষার ভিত্তিতে তৃণমূল নিচুতলার সংগঠনে রদবদলের পথে হাঁটতে চলেছে। আর এখানেই উঠছে গলসির নাম। গলসি ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জি এখনও পদে বহাল। কিন্তু দলের একাংশের মতে, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের ফের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্ষীয়ান নেতা জাকির হোসেনের জনপ্রিয়তা এলাকায় প্রবল — মিছিল মানেই হাজার হাজার লোকের জমায়েত, এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কই তাঁকে আবারও সামনে আনতে পারে বলে জল্পনা।
অন্যদিকে গলসি ২ নম্বর ব্লকে বড় কোনও চমক আপাতত না থাকলেও, যুব সভাপতি পদে পরিবর্তন একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বর্তমান যুব সভাপতি হেমন্ত পাল, যিনি আবার একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন। তৃণমূল আগেই ঘোষণা করেছে— এক ব্যক্তি, এক পদ। তাই নিয়ম মেনে এখানে রদবদল অনিবার্য।এই মুহূর্তে দল গোছাতে মরিয়া তৃণমূলের দ্বিতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিচু স্তরের সংগঠন মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য। আর তাই ব্লক সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে না কোনও ঝুঁকি। তাহলে কি গলসিতেও পাল্টে যাবে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বের ছবি? সবকিছু নির্ভর করছে সেই আলোচিত বৈঠকের উপর। ক্যামাক স্ট্রিটের দরজা বন্ধ হলেও, গলসির রাজনীতিতে জল্পনার দরজা এখনো খোলা!