জীবনদায়ী ওষুধ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই। ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো মরণব্যাধির চিকিৎসা আর কেবল ধনীদের অধিকার নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বড়সড় এক সিদ্ধান্তে বেঁধে দিল ৭১টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য। এই ঘোষণাটি এসেছে ৪ জুলাই, গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। দাম নির্ধারণ করেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ। লক্ষ্য একটাই—সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে। এই তালিকায় রয়েছে মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধগুলোর দাম ছিল আকাশছোঁয়া।
কিন্তু সরকার এবার কড়া নজর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনল সেই খরচে। নতুন এই নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে পড়তে হবে নিয়ন্ত্রিত মূল্যের আওতায়। ফলে এই দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি উপকৃত করবে দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে।বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন স্বাস্থ্য খাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকচিহ্ন, তেমনই এটি স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকতর গণতান্ত্রিকীকরণেরও বার্তা দেয়।সরকারের এই পদক্ষেপ যেন বাস্তবে রূপ নেয় “সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা” এই প্রতিশ্রুতি।জীবনদায়ী ওষুধ এখন আর বিলাস নয়, বরং ন্যায্য অধিকার।