বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহ পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিল ইরান। দীর্ঘদিন ধরেই আশঙ্কা ছিল—মার্কিন-ইরান উত্তেজনা যদি যুদ্ধে রূপ নেয়, তবে এই বাণিজ্য পথ বন্ধ হতে পারে। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমারু বিমান বি-২ হামলার পরই ইরান পালটা ব্যবস্থা নিয়েছে। হুঁশিয়ারি অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হরমুজ প্রণালী। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ হয় এই পথ দিয়ে।
Read more – সমুদ্রের গভীরে ভারতের নতুন অভিযান – কলকাতায় তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক গবেষণা জাহাজ!
ভারতের ক্ষেত্রে এই প্রণালী দিয়ে আসে আমদানিকৃত তেলের প্রায় ৫০ শতাংশ। ফলে ইরান প্রণালী বন্ধ করায় ভারতের তেল আমদানি বড় ধাক্কা খেতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দিক তাকালেও সেই রুটে চাহিদা পূরণ সম্ভব না-ও হতে পারে।
যদি সরবরাহে ঘাটতি পড়ে, তেলের দাম বাড়বে হু-হু করে। তেলের দামে এই বৃদ্ধি শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। তাই এখন প্রশ্ন—এই সংকট কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে? আর ভারত আদৌ প্রস্তুত কি না এমন এক বৈশ্বিক জ্বালানি ঝুঁকির মুখে দাঁড়াতে।