দিঘায় জগন্নাথধাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা ও তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া এই মন্দিরটি উদ্বোধন হয়। তারপর থেকেই ধর্মীয় আবেগ ও পর্যটনের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে দিঘার নতুন পরিচয়। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এখন ভিড় কার্যত জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এনবিএসটিসি (NBSTC) বাস টিকিটে ২৫% ছাড়ের ঘোষণা করেছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বাস টিকিট বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মুনাফা হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে দিঘার সব রুটের টিকিট বুকড। জগন্নাথধাম মন্দির এখন আর শুধুই ধর্মীয় স্থান নয়—এটি হয়ে উঠেছে দিঘার অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ, স্থানীয় হস্তশিল্প—সব ক্ষেত্রেই চাঙ্গাভাব। আসন্ন দুর্গাপুজোতেও থাকছে বিশেষ প্যাকেজ ও অফার।
Read MORE – নতুন ধারাবাহিকে ফিরছেন শুভশ্রী চক্রবর্তী,’হরগৌরী পাইস হোটেলে’র পর এবার কোথায় দেখা যাবে তাঁকে?
পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, “ধর্মীয় পর্যটনের মাধ্যমে কীভাবে একটি শহরের আর্থ-সামাজিক রূপান্তর হতে পারে, দিঘা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।” পর্যবেক্ষকদের মতে, জগন্নাথ মন্দির,সাগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় আবেগের মেলবন্ধনে দিঘা এখন দেশের ধর্মীয় পর্যটনের মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম।
রথযাত্রার আগেই আধ্যাত্মিক ভক্তি, ভ্রমণের আনন্দ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ‘জগন্নাথধাম’। প্রশাসনের আশা, আগামী দিনে দিঘা রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটনের ব্র্যান্ড হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পাবে ।