পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি এলাকায় দামোদর নদীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বালি খাদান। প্রতিদিন কয়েকশো লড়ি এই বালি খাদান থেকে বালি বোঝায় করেন। গলসির গোহগ্রাম, শিল্লা, শিকারপুর এলাকায় রয়েছে এই বালি খাদান গুলি। অন্যান্য দিনের মতই লড়ি গুলি দামোদর বালি খাদানে বালি লোড করতে গিয়েছিলো। নদীতে হঠাৎ জলস্থর বেড়ে যাওয়াই ঘটে বিপত্তি। শিকারপুর ও গোহগ্রামে বেশ কয়েকটি লড়ি আটকে পড়ে জলে। আর এতেই চিন্তায় পড়েছেন লড়ি চালকেরা। ব্যাপক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হলো এই সমস্ত লড়ি মালিকদের।

গলসির শিল্লা এলাকায় নদীর জলে আটকে ছিলো জেসিবি মেসিন। এক লড়ি মালিক জানান যে ‘অন্যান্য দিনের মতই তার গাড়ি গোহগ্রামে বালি লোড করতে গিয়েছিলো, নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে জলে অর্ধেকের বেশি ডুবে গিয়েছে তার লড়ি, গাড়ি তিনি নিয়ে আসতে পারেননি, নদীতেই আটকে রয়েছে তার লড়ি’। গলসির শিকারপুর ও গোহগ্রামে প্রচুর গাড়ি নদীর জলে আটকে রয়েছে। নদীর জল আরও যদি বাড়ে তাহলে লড়ি গুলি পুরোটাই ডুবে যাবে, কখন জলস্থর কমবে সেই আশাই রয়েছেন গাড়ি মালিকেরা।
একটানা বেশি দিন জলে দাড়িয়ে থাকার ফলে লড়ির গুলির প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন লড়ি মালিকেরা। লড়ি মালিকেরা আরো বলছেন কোন মতেই নদী থেকে এখন লড়ি গুলিকে পাড়ে তোলা সম্ভব নয়। একমাত্র জল কমলেই গাড়ি গুলি নদীর পাড়ে তোলা যাবে। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী ঢুকে পড়েছে নিম্নচাপ। একটানা চলছে বৃষ্টি। কখনো জোরে আবার কখনো ঝিরঝির করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর এর ফলে নদীর জলস্থর আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে।