গ্যাসে পেট ফুলে থাকছে অনেকেরই। অনেকেই এই সমস্যায় রীতিমত জেরবার। তা কেবল অস্বস্তিই তৈরি করে না, দৈনন্দিন জীবনকেও প্রভাবিত করতে পারে। আপনার পেট ফোলার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চা-কফি বেশি পরিমাণে পান করা বা জলের অভাবে এই সমস্যা হতে পারে। আবার হজমতন্ত্রের সমস্যা যেমন পাথর বা লিভারের গোলমালেও হতে পারে। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গাদা গাদা অ্যান্টাসিড খান। অনেকে হজমের ওষুধ খেয়েও সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। তবে ঘরোয়া উপায়ে সহজেই আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিভাবে? জোয়ান পেটের গ্যাসের জন্য মহৌষধ। এক চামচ জোয়ান মিহি করে গুঁড়ো করে তাতে এক চিমটি কালো লবণ মিশিয়ে নিন। এটি এক গ্লাস হালকা গরম জলের সাথে পান করলে গ্যাস এবং পেটের ফোলাভাব কয়েক মিনিটের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। জোয়ানে থাকা থাইমল হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস বের করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা পেটের গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি কমাতে অসাধারণ কাজ করে। ২০ মিলি লিটার তাজা অ্যালোভেরা জুস এক কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করুন। এই জুস পেটের জ্বালাপোড়া এবং গ্যাস দ্রুত কমায়।এক চামচ আদা এবং এক চামচ লেবুর রস নিন। এতে সামান্য কালো লবণ এবং এক চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণটি পান করলে কেবল গ্যাসের সমস্যাই দূর হবে না, হজমও উন্নত হবে। আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জারল এবং মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ পেটকে আরাম দেয়। রসুন কেবল স্বাদ বাড়ানোর জন্যই নয়, পেটের গ্যাস কমাতেও কার্যকর। খাবার খাওয়ার পর একটি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খান। এটি পেটের গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন হজমতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং গ্যাসের সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করে। এক চিমটি হিং এক কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করলে পেটের গ্যাস মিনিটের মধ্যে দূর হয়ে যায়। হিং-এর মধ্যে অ্যান্টি-স্প্যাসমোডিক গুণ রয়েছে, যা পেটের পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং গ্যাস বের করতে সাহায্য করে।এই ঘরোয়া টিপসগুলি কেবল সহজ এবং
সাশ্রয়ীই নয়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকও। এগুলি নিয়মিত ব্যবহার করে আপনি পেটের গ্যাস, ফোলাভাব এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এরপরও সমস্যা না মিটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।