সি সি টিভি ক্যামেরায় সেই ছবি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্হা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন উদ্বিগ্ন আবাসিকরা।
মাঝ রাতে বিভিন্ন আবাসনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীদের দল। এই ছবি ধরা পড়ল সি সি টিভি ক্যামেরায়। এই ছবি পূর্ব বর্ধমানের রেনেসাঁ উপনগরীর। ছবি দেখে উপনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এর আগেও এই উপনগরীতে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই এখানের নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকবার এই উপনগরীতে দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে আবার একই ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে উপনগরীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা।
সোমবার রাতে হায়দার আলির চারতলার ফ্লাটে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। বিনা বাধায় কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। এরপর দীর্ঘক্ষণ অপারেশন চালায় ফ্ল্যাটে।স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম আহমেদ জানান,রাতে আওয়াজ পেয়ে আই-হোল দিয়ে দেখি হাতে রড,লাঠি, অস্ত্রশস্ত্র সহ পাঁচজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছে উপনগরীর নক্ষত্র হাইটস ফ্লাটে বেশ কিছুক্ষণ দাপিয়ে বেড়ায় ফ্লাটের ভিতর।
মালিক হায়দার সেদিন রাতে ওখানে ছিলেন না।তারা মাঝেমধ্যে বর্ধমান শহরের অন্য বাড়িতে থাকেন। এদিন রাতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম টের পেয়ে যান আবাসিকরা। তারা সিকিউরিটিকে খবর দেন। কিন্তু তারা আসার আগেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্হা খুবই দুর্বল। এর আগে বেশ কয়েকবার ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। উপনগরীতে গুলিও চলেছে। তার পরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি।

তাদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে কুম্ভ মেলার সময় তিনটি ফ্লাটে চুরি হয়। ফ্ল্যাট খালি ছিল। সেই সুযোগে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেয় চোরেরা।সেবার রেনাসাঁ উপনগরীর ফ্ল্যাটে গভীর রাতে ঢোকে চোরেরা। ১০ নম্বর টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা উত্তরপ্রদেশ যান কুম্ভমেলা দর্শনে। সেই সুযোগে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে টাকা, সোনাদানা নিয়ে ১২ নম্বর টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে ঢোকে চোরেরা। তারা কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটে কেউ না থাকার সুযোগে তালা ভেঙে ঢুকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, দুটি এটিএম কার্ড এবং বেশ কয়েকটি রুপোর কয়েন এবং সোনার গয়না চুরি করে দুষ্কৃতীরা। দু’টি ফ্ল্যাটে চুরির পর চোরের দল যায় ১১ নম্বর টাওয়ারের একটি ফ্লাটে।
সোমবার রাতের ঘটনার পর আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে। বাসিন্দারা জানান, রাতের দিকে কার্যত নিরাপত্তা তেমন কিছু থাকে না। যারা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন তাদের হাতে একটি লাঠি ছাড়া কিছু থাকে না। তাই উপনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্হা জোরদার করা হোক। কে কখন কী কারণে ঢুকছে তা দেখা হোক