পূর্ব বর্ধমানের গলসি এলাকায় রয়েছে দামোদর নদী, আর এই নদীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বালির খাদান। খাদান যাবার রাস্তাই তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়েব্রীজ, কারণ লড়িতে তার মজুত ক্ষমতার থেকে বেশি বালি বোঝায় করলেই প্রশাসন করবে মোটা অংকের জরিমানা , তাই লড়ি গুলি খাদান থেকে বালি লোড করার পরে ওয়েব্রীজে বালির ওজন মাপে অতিরিক্ত বালি থাকলে তা তারা ওই ওয়েব্রীজ মালিককে বিক্রি করে দেয়।
গলসির আদড়াহাটি ও শিল্লা রাস্তার ধারে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়েব্রীজ। অভিযোগ এই ওয়েব্রীজের মালিকেরা লড়ি চালকদের বেশি করে বালি খাদান থেকে আনতে বলেন আর তারা ওয়েব্রিজে এলে সেই বালি টাকা দিয়ে নামিয়ে নেয়, আর কোন খরচাও নেননা। ওয়েব্রীজ গুলি দেখে মনে হবে যেন তারা বালির স্টক করেছে, আর এই বালি তারা রাতের অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে লড়িতে কোন বৈধ চালান ছাড়াই লোড দিয়ে দিচ্ছে।
এলাকা বাসিদের অভিযোগ ওয়েব্রীজ মালিকেরা এই ভাবে বালি বিক্রি অনেকদিন ধরেই করছে, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানিয় বাসিন্দারা।
অনেকের অভিযোগ বেশ কয়েকটি ওয়েব্রীজ মালিক তারা এক সাথে মিলিত হয়ে এই চক্র চালাচ্ছে। প্রায় দিন রাতের অন্ধকারে কোন চালান ছাড়াই লড়িতে বালি লোড করাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।