২১শে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন। পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “পুলিশকেও গালাগালি দেওয়া হচ্ছে! লজ্জা করে না আপনাদের? আমাদের স্টেট ফোর্স আছে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন?” একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠির প্রসঙ্গ তুলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কতজনকে জেলে পুরবেন? সব ড্যামেজ ম্যানেজ করা যায় না।”ধর্মীয় রাজনীতির অভিযোগ তুলে তোপ দেগে মমতা বলেন, “হঠাৎ মা কালী, মা দুর্গার নাম মনে পড়ছে! বিভাজনের খেলা খেলছে কেন্দ্র।” রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বিজেপির ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস করেন তিনি। জাতিসংঘের তথ্য তুলে ধরে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কিভাবে বলছেন সতেরো লক্ষ?”
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পাঠানো একটি ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ সংক্রান্ত সার্কুলার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের জেরে ওড়িশা ও দিল্লিতে বহু বাঙালি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।” এর পাশাপাশি বাংলা ভাষার উপর ‘অত্যাচার’-এর বিরুদ্ধে নতুন ভাষা আন্দোলনের ডাক দেন তিনি। ঘোষণা করেন, “প্রতিটি শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল হবে।” সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘোষণা – ‘দুর্গাঙ্গন’। জগন্নাথ মন্দিরের আদলে সারাবছর খোলা থাকবে এমন এক ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো তৈরি হবে বলে জানান তিনি।সব মিলিয়ে, এই ভাষণ শুধু কেন্দ্রবিরোধী বার্তা নয়, আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজনৈতিক রণকৌশলের দিকনির্দেশও বটে।