পাঁচ দিন পার হলেও নদে আটকে যাওয়া ট্রাকগুলো উদ্ধার করা যায়নি। রবিবার বিশেষজ্ঞদল উদ্ধার পক্রিয়া শুরু করলেও লাগাতার বৃষ্টি আর নদের জল বৃদ্ধির কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্রাক মালিকেরা। তাঁদের দাবি, টানা জলের তলায় থাকার কারণে ট্রাকগুলো নষ্ট হতে বসেছে। প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল তাদের।
আচমকায় দামোদর নদে জল বেড়ে যাওয়ায় বালি খাদানে বালি বোঝাই করতে গিয়ে বুধবার রাত থেকে নদের জলে আটকে রয়েছে ১৪ টি ট্রাক। গলসি ২ ব্লকের গোহগ্রাম অঞ্চলের দক্ষিণ ভাসাপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাক মালিকদের দাবি, নদে জল ছিল না। আচমকায় জল বেরে যাওয়াতে বিপত্তি ঘটে।
এদিন দুপুর থেকে বিশেষজ্ঞ দল বিশেষ পদ্ধতিতে নদ থেকে ট্রাক তোলার কাজ শুরু করেছে ট্রাক মালিক শেখ নসিবুর রহমান ও শরিফ মল্লিকরা বলেন, “ট্রাকগুলি পাঁচ দিন জলে ডুবছে। এরপর তোলা হলেও ট্রাকগুলি ইঞ্জিন সহ ব্যাপক ক্ষতি হবে।” অনেক ট্রাক মালিকের দাবি, ঋণ করে ট্রাক নিয়েছি। এর পরে কিস্তি শোধ করবো কি করে জানে না তারা।

এদিকে নদে আটকে থাকা ট্রাকগুলো থেকে বিস্তীর্ণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকের। আশঙ্কা করেছেন, ট্রাক মালিকেরাও। তাদের দাবি, ১৪ টা ট্রাকের ট্যাঙ্কে প্রায় দু’হাজার লিটার ডিজেল তেল রয়েছে। ট্যাঙ্ক লিক হলে জলে তেল মিশে যেতে পারে। তবে আশ্বস্ত করছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, ট্যাঙ্ক লিক হয়ে তেল জলে পড়লেও এই মূর্হুতে দামোদর নদে যে পরিমাণে জল বয়ে যাচ্ছে তাতে ক্ষতির আশঙ্ক খুবই কম।পরিবেশকর্মী প্রতনু রক্ষিত বলেন, “ডিজেল তেল ততটা ক্ষতিকর নয়। যদিও জলে তেল ছড়ালে দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে তা হবে না।”